ঢাকা ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন , ফলে সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা দেশে আনতে কোনো বাধা থাকছে না : ওষুধ প্রশাসন

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। আজ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এ টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই অনুমোদনের ফলে সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা দেশে আনতে কোনো বাধা থাকছে না।

বাংলাদেশে অক্সফোর্ডের এই টিকা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি টিকা পেতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছে। তারা জানিয়েছে, সময় মতো ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ।

আজ সোমবার (৪ জানুয়ারি) বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা আশা করছি আমাদের অ্যাগ্রিমেন্টে যেভাবে বলা আছে, অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী ভ্যাকসিন পাবো।’ ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর সেটা কীভাবে পাওয়া যাবে জানতে চাইলে রাব্বুর রেজা বলেন, ওদের (সেরাম ইনস্টিটিউট) কাছে ইতোমধ্যে ৭০টি দেশ থেকে ভ্যাকসিনের জন্য রিকোয়েস্ট রয়েছে। কিন্তু তারা দেশকে প্রায়োরিটি দিতে চাচ্ছে আগে। অনেক দেশের অনেক বেশি অর্ডার রয়েছে। কোভ্যাক্সেরও রয়েছে অর্ডার। কিন্তু সে তুলনায় আমাদের অর্ডার অনেক কম। তারা বানাবে দুই বিলিয়নের মতো। আমাদের দরকার ৩০ মিলিয়ন। সে হিসাবে এটা তাদের কাছে কিছুই না।

রাব্বুর রেজা জানান, সেরাম থেকে চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশে অনুমোদন পাওয়ার পর এক মাসের মধ্যে আমরা প্রথম লটের ভ্যাকসিন পাবো। ইতোমধ্যে তারা গত ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে এ সংক্রান্ত সব কাগজ জমা দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহের বিষয়ে চুক্তি হয়। সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে তিন কোটি ভ্যাকসিন পাবে। এজন্য সরকারের ব্যয় হবে এক হাজার ৫৮৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ, ভ্যাকসিন কেনা থেকে শুরু করে মানুষের শরীরে দেওয়া পর্যন্ত এই টাকা প্রয়োজন হবে। ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় প্রায় ৭৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছাড় করেছে।

Tag :

কারো রক্তচক্ষু বা ধমকের কারণে কোনো কাজ করার প্রয়োজন নেই: ডিসিদের প্রধান উপদেষ্টা

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন , ফলে সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা দেশে আনতে কোনো বাধা থাকছে না : ওষুধ প্রশাসন

Update Time : ০৪:০৪:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। আজ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এ টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই অনুমোদনের ফলে সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা দেশে আনতে কোনো বাধা থাকছে না।

বাংলাদেশে অক্সফোর্ডের এই টিকা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি টিকা পেতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছে। তারা জানিয়েছে, সময় মতো ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ।

আজ সোমবার (৪ জানুয়ারি) বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা আশা করছি আমাদের অ্যাগ্রিমেন্টে যেভাবে বলা আছে, অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী ভ্যাকসিন পাবো।’ ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর সেটা কীভাবে পাওয়া যাবে জানতে চাইলে রাব্বুর রেজা বলেন, ওদের (সেরাম ইনস্টিটিউট) কাছে ইতোমধ্যে ৭০টি দেশ থেকে ভ্যাকসিনের জন্য রিকোয়েস্ট রয়েছে। কিন্তু তারা দেশকে প্রায়োরিটি দিতে চাচ্ছে আগে। অনেক দেশের অনেক বেশি অর্ডার রয়েছে। কোভ্যাক্সেরও রয়েছে অর্ডার। কিন্তু সে তুলনায় আমাদের অর্ডার অনেক কম। তারা বানাবে দুই বিলিয়নের মতো। আমাদের দরকার ৩০ মিলিয়ন। সে হিসাবে এটা তাদের কাছে কিছুই না।

রাব্বুর রেজা জানান, সেরাম থেকে চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশে অনুমোদন পাওয়ার পর এক মাসের মধ্যে আমরা প্রথম লটের ভ্যাকসিন পাবো। ইতোমধ্যে তারা গত ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে এ সংক্রান্ত সব কাগজ জমা দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহের বিষয়ে চুক্তি হয়। সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে তিন কোটি ভ্যাকসিন পাবে। এজন্য সরকারের ব্যয় হবে এক হাজার ৫৮৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ, ভ্যাকসিন কেনা থেকে শুরু করে মানুষের শরীরে দেওয়া পর্যন্ত এই টাকা প্রয়োজন হবে। ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় প্রায় ৭৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছাড় করেছে।