প্রচলিত আছে- ‘গ্রাম দেখলে কলম, আর বিল দেখলে চলন।’ প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শীত মৌসুমে অতিথি পাখির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে দেশের সর্ববৃহৎ বিলাঞ্চল নাটোরের চলনবিল। আর চলনবিলের প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে চোখ জুড়ানো দৃশ্যের একটি অন্যতম বিভিন্ন প্রজাতির নানা আকৃতির পাখি। বিলে পাখিদের কোলাহল, কলরব, ডানা মেলে অবাধ বিচরণ, ঝাঁকে ঝাঁকে শীতের শুরুতে অতিথি পাখিদের আগমন সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তাই পুরো চলনবিল এলাকাতেই এখন অতিথি পাখির আগমন যেন লক্ষ্যণীয়।
সুদূর সাইবেরিয়া থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আসা এসব পাখি অত্র অঞ্চলের পরিবেশ আরও দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে।
আর চলনবিলের প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে চোখ জুড়ানো দৃশ্যের একটি অন্যতম বিভিন্ন প্রজাতির নানা আকৃতির পাখি। বিলে পাখিদের কোলাহল, কলরব, ডানা মেলে অবাধ বিচরণ, ঝাঁকে ঝাঁকে শীতের শুরুতে অতিথি পাখিদের আগমন সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তাই পুরো চলনবিল এলাকাতেই এখন অতিথি পাখির আগমন যেন লক্ষ্যণীয়।
জানা যায়, পাবনা, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলাজুড়ে বিস্তৃত এই চলনবিল। বিশেষ করে পাবনার চাটমোহর উপজেলার অধিকাংশ স্থানজুড়ে এর অবস্থান। চোখ-মন ছুঁয়ে যায় সবুজের সমারোহ, বক ও বালিহাসসহ অসংখ্য অতিথি পাখির উড়াউড়ি, দূরের গ্রাম, জল-মাটি-মানুষসহ আরও কত কী! আর মাছে ভরপুর হাঁটু পানিতে প্রতিদিন ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখিদের মিলন মেলায় যেন স্বর্গীয় পরিবেশ তৈরি হয়েছে চলনবিল জুড়ে। দিনের আলোতে চলনবিলজুড়ে দলবদ্ধ অতিথি পাখির বিচরণ করার চিত্র যে কাউকেই মুগ্ধ করবে।
শীত এলেই সাতপুকুরিয়া, ডাহিয়া, বেড়াবাড়ী, নিংগইন, জোড়মল্লিকাসহ চলনবিলের বিভিন্ন এলাকায় অতিথি পাখি ভিড় করে। আর এসময় পাখি শিকারিদের আনাগোনা বেড়ে যায়। এতে করে বিলের সৌন্দর্য্যও জীব-বৈচিত্র হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। বিল পাড়ের মানুষের মধ্যে অসচেতনতার কারণে ডাহুক, তীরশুল, নলকাক, ভাড়ই, রাংগাবনী, গাংচিল, রাতচড়া, হুটটিটি, হারগিলা, ঈগল উল্লেখযোগ্য বেশকিছু পাখি বিলিন হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে চলনবিল জীববৈচিত্র রক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান জানান, প্রতি বছর এই সময় মৎস্য ভান্ডার খ্যাত চলনবিলে নিজেদের আহার যোগাতে বক, বালিহাস, প্রাণকৌড়ি, শামুককলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি আসে। পরিবেশবাদী সংগঠন চলনবিল জীববৈচিত্র রক্ষা কমিটির সদস্যরা পাখি শিকারের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে অবহিত ও গণসচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।