ঢাকা ১২:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
যারা মজলুম থেকে জালিম হচ্ছে, কেন সেটা হচ্ছে, ভাবতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সরকার পতনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা অন্য কোনো বিদেশি শক্তি সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিল বলে বিশ্বাস করেন না শেখ হাসিনা সোনার দাম ভরিতে কমলো ৫৪৪৭ হাজার টাকা ফরিদপুরে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেড় বছরের মধ্যে এক কোটি লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। ফরিদপুরে আলিয়াবাদ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে দিল্লিতে গাড়ি বিস্ফোরণ ঘটনার অন্যতম প্রধান সন্দেহভাজন ডাক্তার ওমর নাবির বাড়ি আগামী সপ্তাহেই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন ট্রাম্প এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ১৪ নভেম্বর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৫ নভেম্বর ২০২৫

অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় মারা গেছেন

  • বিনোদন ডেস্ক
  • Update Time : ০৯:২৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০
  • ৩৯৫ Time View

চলে গেলেন সত্যজিৎ রায়ের ‘অপু’, অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।

আজ ভারতীয় সময় ১২টা ১৫ মিনিটে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে অভিনেতা, আবৃত্তিকার, কবি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ১২টা ১৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যুর ঘোষণা দেওয়া হয়। শেষ হাসপাতালের ৪১ দিনের যুদ্ধ। হাসপাতাল সূত্র বলছে, কোভিড এনসেফ্যালোপ্যাথির কারণেই সব রকম চিকিত্‍সার উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় করোনার সঙ্গে একাধিক রোগে ভুগছিলেন। তিনি প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। এটা নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছিল ফুসফুস ও মস্তিষ্কে। মূত্রথলিতেও সংক্রমণ হয়েছিল তার। এতকিছুর সঙ্গে এই বার্ধক্যে তার শরীর লড়াই করে উঠতে পারছিল না।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ১৯৩৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে ছিলেন প্রযোজক, গল্পকার, কবি, আবৃত্তিকার। মঞ্চেও দুর্দান্ত একজন অভিনেতা ছিলেন। পেশাজীবন শুরু করেছেন ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে। পরে সিনেমার জন্য ডাক পান ১৯৫৯ সালে, অস্কারজয়ী পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ‘অপুর সংসার’ সিনেমার জন্য।

সে ছবি দিয়েই অভিনয়জগতে পা রাখেন। এরপর তিনি সত্যজিৎ রায়ের ৩৪টি সিনেমার ১৪টিতে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত চরিত্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘ফেলুদা’।

সত্যজিৎ ছাড়াও তিনি মৃণাল সেন, তপন সিংহ, অজয় করের মতো কালজয়ী নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন।

তার নায়িকা হিসেবে দেখা গেছে সুচিত্রা সেন, সুপ্রিয়া দেবী, শর্মিলা ঠাকুর, অপর্ণা সেন, মাধবী মুখার্জি, তনুজাসহ অনেক কিংবদন্তি অভিনেত্রীকে।

ভারত সরকার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে ২০০৪ সালে ‘পদ্মভূষণ’ ও ২০১২ সালে ‘দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার’ দিয়ে সম্মানিত করেছে। এছাড়াও ২০১৭ সালে তিনি ফ্রান্স সরকার কর্তৃক ‘লিজিওন অব অনার’ লাভ করেন।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার একই বছরে তাকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ পুরস্কার প্রদান করে। তবে ২০১৩ সালে এই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।

Tag :
জনপ্রিয়

যারা মজলুম থেকে জালিম হচ্ছে, কেন সেটা হচ্ছে, ভাবতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় মারা গেছেন

Update Time : ০৯:২৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০

চলে গেলেন সত্যজিৎ রায়ের ‘অপু’, অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।

আজ ভারতীয় সময় ১২টা ১৫ মিনিটে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে অভিনেতা, আবৃত্তিকার, কবি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ১২টা ১৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যুর ঘোষণা দেওয়া হয়। শেষ হাসপাতালের ৪১ দিনের যুদ্ধ। হাসপাতাল সূত্র বলছে, কোভিড এনসেফ্যালোপ্যাথির কারণেই সব রকম চিকিত্‍সার উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় করোনার সঙ্গে একাধিক রোগে ভুগছিলেন। তিনি প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। এটা নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছিল ফুসফুস ও মস্তিষ্কে। মূত্রথলিতেও সংক্রমণ হয়েছিল তার। এতকিছুর সঙ্গে এই বার্ধক্যে তার শরীর লড়াই করে উঠতে পারছিল না।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ১৯৩৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে ছিলেন প্রযোজক, গল্পকার, কবি, আবৃত্তিকার। মঞ্চেও দুর্দান্ত একজন অভিনেতা ছিলেন। পেশাজীবন শুরু করেছেন ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে। পরে সিনেমার জন্য ডাক পান ১৯৫৯ সালে, অস্কারজয়ী পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ‘অপুর সংসার’ সিনেমার জন্য।

সে ছবি দিয়েই অভিনয়জগতে পা রাখেন। এরপর তিনি সত্যজিৎ রায়ের ৩৪টি সিনেমার ১৪টিতে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত চরিত্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘ফেলুদা’।

সত্যজিৎ ছাড়াও তিনি মৃণাল সেন, তপন সিংহ, অজয় করের মতো কালজয়ী নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন।

তার নায়িকা হিসেবে দেখা গেছে সুচিত্রা সেন, সুপ্রিয়া দেবী, শর্মিলা ঠাকুর, অপর্ণা সেন, মাধবী মুখার্জি, তনুজাসহ অনেক কিংবদন্তি অভিনেত্রীকে।

ভারত সরকার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে ২০০৪ সালে ‘পদ্মভূষণ’ ও ২০১২ সালে ‘দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার’ দিয়ে সম্মানিত করেছে। এছাড়াও ২০১৭ সালে তিনি ফ্রান্স সরকার কর্তৃক ‘লিজিওন অব অনার’ লাভ করেন।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার একই বছরে তাকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ পুরস্কার প্রদান করে। তবে ২০১৩ সালে এই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।