গণমাধ্যমকে মুনাফার ভাগ দেওয়ার আইন নিয়ে সরকারের সঙ্গে টানাপড়নের জেরে গত বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ায় খবর প্রচার, দেখা বা শেয়ার করার সুযোগ বন্ধ করে দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তবে অবশেষে সেই পদক্ষেপ থেকে পিছু হটলো ফেসবুক।
অস্ট্রেলিয়ার সরকার জানিয়েছে, দেশটিতে ফেসবুক আবার খবর প্রচার, দেখা বা শেয়ার করার সুযোগ ফিরে দিচ্ছে।
গণমাধ্যমের কনটেন্ট থেকে গুগল, ইউটিউব ও ফেসবুক যে আয় করছে, তা সংবাদ প্রকাশকদের সঙ্গে ভাগাভাগি বাধ্যতামূলক করে নিম্নকক্ষে আইন পাস করেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ফেসবুক বিষয়টি মেনে নেয়নি। অস্ট্রেলিয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর দেখা ও শেয়ারের সুযোগ বন্ধ করে দেয়। একইসঙ্গে দেশটির বিভিন্ন রাজ্য সরকার এবং জরুরি বিভাগের অ্যাকাউন্টগুলোও বন্ধ করে দেয় ফেসবুক। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এগুলো বন্ধ রয়েছে। খবর রয়টার্সের
মঙ্গলবার দেশটির অর্থমন্ত্রী জশ ফ্রাইডেনবার্গ বলেন, আসন্ন দিনে ফেসবুকে খবর প্রচার আবার শুরু হবে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, আইনে সংশোধন করা হবে।
এদিকে একই আইন করার জন্য ভাবছে যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ বিশ্বের অনেক দেশ। বলা হচ্ছে, কতগুলো দেশ একে জাতীয় আইন করা যায় কিনা বিবেচনা করে অস্ট্রেলিয়ার বিষয়টি ব্যাপকভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে গণমাধ্যমগুলোও বিষয়টি গভীর নজরে রেখেছে।
এনিয়ে ফেসবুক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা অস্ট্রেলিয়া সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে পেরে খুশি। তবে ঠিক কী ধরনের চুক্তি হয়েছে এনিয়ে অস্ট্রেলিয়া ও ফেসবুকের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিস্তারিত জানানো হয়নি।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে ঘুম ভেঙে অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দারা আবিষ্কার করেন, তাদের নিউজ ফিডে কোনো সংবাদ নেই। স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো সংবাদমাধ্যমের ফেসবুক পেইজও তারা দেখতে পারছেন না। ওয়েবসাইট থেকেও কোনো খবর তারা শেয়ার করতে পারছেন না।