ঢাকা ০১:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরান; ১০০টিরও বেশি ড্রোন ছুঁড়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের ছয়টি স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে জনপ্রিয় অভিনেতা সমু চৌধুরীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে সবার নজর এখন লন্ডনে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় এক দিনে ১০৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত ইসরায়েলি হামলার কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে তেহরান ইসরায়েলকে ‘ভয়াবহ পরিণামের’ হুঁশিয়ারি দিলেন খামেনি ইরানের রাডার ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লক্ষ্য করে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো তৃতীয় ধাপে আক্রমণ শুরু করেছে ইসরায়েলকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র যতক্ষণ প্রয়োজন ইরানে হামলা চলবে: নেতানিয়াহু

আজ শেষ হচ্ছে ইলিশ শিকারের ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা

ইলিশের প্রজনন ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় জারিকৃত ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ বুধবার (১১ জুন) রাত ১২টায়। এরপর বৃহস্পতিবার থেকে আবারও সমুদ্রে মাছ ধরতে নামবেন উপকূলীয় জেলেরা। ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন পটুয়াখালীর আলীপুর ও মহিপুর এলাকার জেলেরা।

জেলেরা ট্রলার মেরামত, জাল সেলাই, বরফ সংগ্রহ ও খাদ্য মজুতসহ শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আলীপুর বন্দরের জেলে ইউনূস মিয়া জানান, দীর্ঘ ২৩ বছর সমুদ্রে গেলেও এখনও সরকারি প্রণোদনার তালিকায় তার নাম নেই। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “অনেকে জেলে না হয়েও প্রণোদনা পেয়েছে।”

মৎস্যজীবী কাদের পহলান জানান, “৫৮ দিন ধারদেনা করে চলেছি। সরকার যে চাল দিয়েছে, তা দিয়ে সংসার চলেনি। এখন সমুদ্রে গিয়েও যদি ইলিশ না পাই, তাহলে বিপদ বাড়বে।”

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলত। তবে এবার ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সময়ের সামঞ্জস্যতা আনতে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয় ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত। এ সময়কালে মাছ ধরা, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিক্রি ছিল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে মাঠে ছিল কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ। আইন ভাঙায় বেশ কয়েকজনকে জরিমানা ও কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

মহিপুর মৎস্য আড়ৎদার মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজু আহমেদ রাজা মিয়া বলেন, “জেলেরা নিষেধাজ্ঞা মেনে চলেছে। আশা করছি, এবার মাছের সরবরাহ বাড়বে এবং বাজারে দাম কিছুটা কমবে।”

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, “নিষেধাজ্ঞার মূল লক্ষ্য ছিল ইলিশ ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ। তা সফলভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। জেলেরা এর সুফল পাবেন। প্রণোদনার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়েও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”

Tag :
জনপ্রিয়

ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরান; ১০০টিরও বেশি ড্রোন ছুঁড়েছে

আজ শেষ হচ্ছে ইলিশ শিকারের ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা

Update Time : ০১:৩২:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

ইলিশের প্রজনন ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় জারিকৃত ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ বুধবার (১১ জুন) রাত ১২টায়। এরপর বৃহস্পতিবার থেকে আবারও সমুদ্রে মাছ ধরতে নামবেন উপকূলীয় জেলেরা। ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন পটুয়াখালীর আলীপুর ও মহিপুর এলাকার জেলেরা।

জেলেরা ট্রলার মেরামত, জাল সেলাই, বরফ সংগ্রহ ও খাদ্য মজুতসহ শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আলীপুর বন্দরের জেলে ইউনূস মিয়া জানান, দীর্ঘ ২৩ বছর সমুদ্রে গেলেও এখনও সরকারি প্রণোদনার তালিকায় তার নাম নেই। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “অনেকে জেলে না হয়েও প্রণোদনা পেয়েছে।”

মৎস্যজীবী কাদের পহলান জানান, “৫৮ দিন ধারদেনা করে চলেছি। সরকার যে চাল দিয়েছে, তা দিয়ে সংসার চলেনি। এখন সমুদ্রে গিয়েও যদি ইলিশ না পাই, তাহলে বিপদ বাড়বে।”

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলত। তবে এবার ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সময়ের সামঞ্জস্যতা আনতে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয় ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত। এ সময়কালে মাছ ধরা, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিক্রি ছিল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে মাঠে ছিল কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ। আইন ভাঙায় বেশ কয়েকজনকে জরিমানা ও কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

মহিপুর মৎস্য আড়ৎদার মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজু আহমেদ রাজা মিয়া বলেন, “জেলেরা নিষেধাজ্ঞা মেনে চলেছে। আশা করছি, এবার মাছের সরবরাহ বাড়বে এবং বাজারে দাম কিছুটা কমবে।”

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, “নিষেধাজ্ঞার মূল লক্ষ্য ছিল ইলিশ ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ। তা সফলভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। জেলেরা এর সুফল পাবেন। প্রণোদনার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়েও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”