চীনে প্রায় আট মাস পর করোনা ভাইরাসে আবার একজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এই মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে। এছাড়া এদিন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৮ জন। খবর আল জাজিরার।
মহামারি শুরু হওয়ার পর কঠোর লকডাউন ও ব্যাপক পরীক্ষার মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতি বেশ নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল চীন। গত বছর মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সেখানে করোনায় আর কারোর মৃত্যু হয়নি। তবে নতুন করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে দেশটির উত্তরাঞ্চলে ২ কোটিরও বেশি মানুষ লকডাউনের আওতায় আছে। এর মধ্যে একটি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
এদিকে করোনা ভাইরাসের উৎস সন্ধানের লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি বিশেষজ্ঞ দল বৃহস্পতিবার উহানে পৌঁছেছে। ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর দলটি তাদের অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করবে।
স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবারের মৃত্যুর ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। মৃত ব্যক্তি হেবেই প্রদেশের অধিবাসী, শুধু এটুকু তথ্যই তারা জানিয়েছে। বেইজিংকে ঘিরে থাকা হেবেইয়ের বেশ কয়েকটি শহরে লকডাউন আরোপ করা হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা শিনহুয়া জানিয়েছে, দেশজুড়ে অন্তত ৮শ ৮৫ জন করোনা রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ২৪ জনের অবস্থা গুরুতর।
গত সপ্তাহে চীনা কর্তৃপক্ষ হেবেইয়ের রাজধানী শিজাঝুয়াংয়ে ব্যাপক পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে। এছাড়া পরিবহণ সংযোগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শিজাঝুয়াং ছিল চীনের সর্বশেষ সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল।
আল জাজিরা জানায়, সম্ভাব্য রোগী ভর্তি হওয়ার আশঙ্কায় হেবেইয়ে নতুন করে অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। নতুন এই মৃত্যু স্থানীয়দের অনেককেই স্তব্ধ করে দিয়েছে, কারণ গত কয়েক মাস ধরে সেখানে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল।
এদিকে চীনের উত্তরপূর্ব অঞ্চলের প্রদেশ হেইলংজিয়াংয়ে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বুধবার জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সেখানকার ৩ কোটি সাড়ে ৭০ লাখেরও বেশি অধিবাসীদের অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া প্রদেশ থেকে বের হতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এছাড়া গণজমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।