ঢাকা ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ফরিদপুরে চলাচলের অযোগ্য সড়ক মেরামত করলো যুবদল কর্মীরা আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় কোনো জঙ্গি হামলার শঙ্কা নেই ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফায় ফের রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ, আহত ১০ বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে শিশুদের সুন্দর বিকাশের জন্য গুরুত্ব প্রদান করা আমাদের সবার দায়িত্ব রাস্তা ঘেষে বেকু দিয়ে মাটি কাটায় ধসে যাচ্ছে ফরিদপুর লেকপাড়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আজকের নামাজের সময়সূচি ৭ অক্টোবর আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা তিন পার্বত্য জেলায় কঠিন চীবর দান উদযাপন না করার সিদ্ধান্ত সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম কিছুটা কমেছে

আদালতে মার্কিন নির্বাচন সমাধান

বুধবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে তিনটি রাজ্যে ভোট গণনা বন্ধ করার দাবি নিয়ে আদালতে গিয়েছেন ট্রাম্প। প্রশ্ন হচ্ছে মার্কিন নির্বাচনে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে কি না? আদালত আদৌ এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে কিনা, তা শুধু মার্কিন মুল্লুকে নয়, গোটা বিশ্বেই এই প্রশ্ন ঘুরছে।

এখন সারা বিশ্বের নজর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলের দিকে।এখনও অনেক ভোট গণনা বাকি রয়েছে। দেশটির নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কারচুপি এবারের নির্বাচনে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও তার অভিযোগের কোনো সত্যতা মেলেনি। শুধু অভিযোগ করেই থেমে থাকেননি ট্রাম্প, আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন তিনি।

আইন বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশ বলছে, আদালত এভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নির্দিষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে এবং নির্দেশ দিতে পারে। যেমন ঘটেছিল ২০০০ সালে। সে বছর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আল গোর। ওই বছর মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট বুশের নতুন করে ভোট গণনার আবেদনে সাড়া দিয়েছিল এবং পুনর্গণনার আদেশ দিয়েছিল।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, সে বছর বুশের দাবি স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট ছিল। যে পরিস্থিতির মধ্যে ভোট পুনর্গণনার আবেদন জানানো হয়েছিল, তারও একটি নির্দিষ্ট ভিত্তি ছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের আবেদনের কোনো ভিত্তি নেই। যেভাবে তিনি পোস্টাল ব্যালটের বিরোধিতা করছেন, আইনের দিক থেকে তার কোনো ভিত্তি নেই। মিশিগান, পেনসিলভানিয়া নিয়ে আদালতে ট্রাম্প যে অভিযোগ করেছেন, তা স্পষ্ট নয়। ফলে শেষ পর্যন্ত আদালত তাতে হস্তক্ষেপ করবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব আইন আছে। পোস্টাল ব্যালট বিষয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। বিশেষজ্ঞদের অধিকাংশেরই ধারণা, সেই নিয়ম মেনেই পোস্টাল ব্যালট গণনা করা হচ্ছে। বস্তুত সে কারণে এ বছর ভোট গণনা করতে অনেক বেশি সময় লাগছে। করোনার কারণে রেকর্ড সংখ্যক পোস্টাল ব্যালটে ভোট হয়েছে এ বার।

মার্কিন ভোট এবং আইন বিশেষজ্ঞ নেড ফলি সংবাদসংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট দুটি বিষয় দেখতে পারে। এক ভোটের বৈধতা এবং দুই সেই প্রশ্ন ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটাচ্ছে কি না। এ দুই বিষয় নিশ্চিত হলে তবেই আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে। ট্রাম্পের আবেদনে এই দুই বিষয় নেই বলেই তিনি মনে করছেন।

ট্রাম্পের সঙ্গে অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ আইন বিশেষজ্ঞরা আছেন। ফলে ট্রাম্পের আবেদন সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এমন মনে করার কারণ নেই। বিষয়টি যে আরো দূর গড়াবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ট্রাম্প। জো বাইডেনের আইনজ্ঞরাও কাগজপত্র তৈরি করতে শুরু করেছেন।

কোনো কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের একটি বড় সুবিধা আছে। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামে ছয়জন রিপাবলিকান আমলে নিযুক্ত বিচারপতি এবং তিনজন ডেমোক্র্যাটদের সময়ের বিচারপতি। এই বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্প অনেক আগে থেকে ভেবেছিলেন বলেই নির্বাচনের একেবারে মুখে প্রথমে প্রধান বিচারপতি এবং পরে আরো এক বিচরপতিকে মনোনীত করেন। যা নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে যেহেতু রিপাবলিকানদের জোর বেশি, তা কিছুটা সুবিধা ট্রাম্প পেতে পারেন বলেও অনেকে মনে করছেন।

ছবি: সংগ্রহীত

Tag :
জনপ্রিয়

ফরিদপুরে চলাচলের অযোগ্য সড়ক মেরামত করলো যুবদল কর্মীরা

আদালতে মার্কিন নির্বাচন সমাধান

Update Time : ০৫:২৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ নভেম্বর ২০২০

বুধবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে তিনটি রাজ্যে ভোট গণনা বন্ধ করার দাবি নিয়ে আদালতে গিয়েছেন ট্রাম্প। প্রশ্ন হচ্ছে মার্কিন নির্বাচনে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে কি না? আদালত আদৌ এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে কিনা, তা শুধু মার্কিন মুল্লুকে নয়, গোটা বিশ্বেই এই প্রশ্ন ঘুরছে।

এখন সারা বিশ্বের নজর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলের দিকে।এখনও অনেক ভোট গণনা বাকি রয়েছে। দেশটির নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কারচুপি এবারের নির্বাচনে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও তার অভিযোগের কোনো সত্যতা মেলেনি। শুধু অভিযোগ করেই থেমে থাকেননি ট্রাম্প, আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন তিনি।

আইন বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশ বলছে, আদালত এভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নির্দিষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে এবং নির্দেশ দিতে পারে। যেমন ঘটেছিল ২০০০ সালে। সে বছর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আল গোর। ওই বছর মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট বুশের নতুন করে ভোট গণনার আবেদনে সাড়া দিয়েছিল এবং পুনর্গণনার আদেশ দিয়েছিল।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, সে বছর বুশের দাবি স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট ছিল। যে পরিস্থিতির মধ্যে ভোট পুনর্গণনার আবেদন জানানো হয়েছিল, তারও একটি নির্দিষ্ট ভিত্তি ছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের আবেদনের কোনো ভিত্তি নেই। যেভাবে তিনি পোস্টাল ব্যালটের বিরোধিতা করছেন, আইনের দিক থেকে তার কোনো ভিত্তি নেই। মিশিগান, পেনসিলভানিয়া নিয়ে আদালতে ট্রাম্প যে অভিযোগ করেছেন, তা স্পষ্ট নয়। ফলে শেষ পর্যন্ত আদালত তাতে হস্তক্ষেপ করবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব আইন আছে। পোস্টাল ব্যালট বিষয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। বিশেষজ্ঞদের অধিকাংশেরই ধারণা, সেই নিয়ম মেনেই পোস্টাল ব্যালট গণনা করা হচ্ছে। বস্তুত সে কারণে এ বছর ভোট গণনা করতে অনেক বেশি সময় লাগছে। করোনার কারণে রেকর্ড সংখ্যক পোস্টাল ব্যালটে ভোট হয়েছে এ বার।

মার্কিন ভোট এবং আইন বিশেষজ্ঞ নেড ফলি সংবাদসংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট দুটি বিষয় দেখতে পারে। এক ভোটের বৈধতা এবং দুই সেই প্রশ্ন ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটাচ্ছে কি না। এ দুই বিষয় নিশ্চিত হলে তবেই আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে। ট্রাম্পের আবেদনে এই দুই বিষয় নেই বলেই তিনি মনে করছেন।

ট্রাম্পের সঙ্গে অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ আইন বিশেষজ্ঞরা আছেন। ফলে ট্রাম্পের আবেদন সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এমন মনে করার কারণ নেই। বিষয়টি যে আরো দূর গড়াবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ট্রাম্প। জো বাইডেনের আইনজ্ঞরাও কাগজপত্র তৈরি করতে শুরু করেছেন।

কোনো কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের একটি বড় সুবিধা আছে। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামে ছয়জন রিপাবলিকান আমলে নিযুক্ত বিচারপতি এবং তিনজন ডেমোক্র্যাটদের সময়ের বিচারপতি। এই বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্প অনেক আগে থেকে ভেবেছিলেন বলেই নির্বাচনের একেবারে মুখে প্রথমে প্রধান বিচারপতি এবং পরে আরো এক বিচরপতিকে মনোনীত করেন। যা নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে যেহেতু রিপাবলিকানদের জোর বেশি, তা কিছুটা সুবিধা ট্রাম্প পেতে পারেন বলেও অনেকে মনে করছেন।

ছবি: সংগ্রহীত