দর্শকপ্রিয় অভিনেতা আব্দুল কাদেরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোকবার্তায় আজ শনিবার আব্দুল কাদেরের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান রাষ্ট্রপতি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাবলীল ও স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তিনি (আব্দুল কাদের) মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নেয়া হবে অভিনেতা আবদুল কাদেরের মরদেহ। সেখানে শ্রদ্ধা জানানোর পর বনানীতে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন গুণী এ অভিনেতা।
কাদেরের পুত্রবধূ জাহিদা ইসলাম জেমি জানান, দুপুরের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে অভিনেতার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তার মিরপুর ডিওএইচএসের বাসায়। ডিওএইচএস জামে মসজিদে তার জানাজা হবে।
এরপর বিকাল ৩টার দিকে তার মরদেহ নেয়া হবে শিল্পকলা একাডেমিতে। সেখানে শ্রদ্ধা জানানো শেষে বাদ মাগরিব রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে জানান তিনি।
শনিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে মারা যান জনপ্রিয় অভিনেতা আবদুল কাদের। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। এ ছাড়া তিনি রেখে গেছেন নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী।
অসুস্থতা নিয়ে চিকিৎসার জন্য সম্প্রতি ভারতে গিয়েছিলেন এ অভিনেতা। সেখানে গিয়ে তার ক্যান্সার ধরা পড়ে। গত ২০ ডিসেম্বর ভারত থেকে দেশে ফেরেন তিনি।
শারীরিক অবস্থা সংকটাপূর্ণ হওয়ায় দেশে ফেরার পরই রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে করোনার টেস্ট করা হলে গত ২১ ডিসেম্বর তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
এর আগে ভারতের চেন্নাইয়ের ভেলোর শহরের সিএমসি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পর ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এ অভিনেতাকে। এরপর তাঁর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়।
কাদেরের প্যানক্রিসের (অগ্ন্যাশয়) ক্যানসার জটিল আকার ধারণ করলে গত ৮ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে নেওয়া হয়। বেশ কিছু পরীক্ষার পর ১৫ ডিসেম্বর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আব্দুল কাদের কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিক নাটকে ‘বদি’ চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল আলোচনায় আসেন। এ ছাড়া জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র পরিচিত মুখ তিনি। হাস্যরসাত্মক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি তুমুল জনপ্রিয় টেলিভিশনের পর্দায়।