ঢাকা ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সারাদেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে টানা শাটডাউন কর্মসূচি ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদে তুলে ধরবে; তারপর নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করেছে সরকার কাউকে হয়রানিমূলকভাবে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ফরিদপুরের আলোচিত সেই অনার্স ,মাস্টার্স পাশ করা রিক্সা চালক জুলহাস ব্যাপারীর চাকরী হয়েছে। পাকিস্তানে হঠাৎ বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ৭ পাকিস্তানের ১৩০টির বেশি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘শুধুই ভারতের জন্য’ রাখা হয়েছে: পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা রো‌হিঙ্গা‌দের জন্য স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব থে‌কে সরে এলো জামায়াত

“আমাদের জনসংখ্যার যারা ১৮ বছরের নিচে তারা কিন্তু ভ্যাকসিন গ্রহণ করবে না যা প্রায় ৪০ শতাংশ” স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক

বাংলাদেশে ১৮ বছরের কম বয়সীদের এই মুহূর্তে করোনার টিকা লাগবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমাদের জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পাবে যা প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি। আমাদের জনসংখ্যার যারা ১৮ বছরের নিচে তারা কিন্তু ভ্যাকসিন গ্রহণ করবে না যা প্রায় ৪০ শতাংশ। পৃথিবীর কোথাও তাদের ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে না এবং তাদের ট্রায়ালও হয়নি।

রোববার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে ভ্যাকসিন ল্যাব পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

ডা. জাহিদ বলেন, আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বয়স ২৫ বছরের নিচে। আর ১৮ বছরের নিচে ৪০ শতাংশ মানুষ। এই মুহূর্তে এদের ভ্যাকসিনের দরকার নেই। এছাড়া গর্ভবতী নারী ও কিছু অন্য জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের এই ভ্যাকসিন দেয়া হবে না। কাজেই আমাদের মোট জনসংখ্যার প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষের এই মুহূর্তে ভ্যাকসিন প্রয়োজন হবে না।

তিনি বলেন, এক কোটি লোক দেশের বাইরে থাকে। তাতে আমাদের হিসাবে আছে, প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষের এই মুহূর্তে ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে না। আর যে ভ্যাকসিন দেয়া হবে সেটাও প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি। কাজেই গ্যাপ (জনসংখ্যা বাকি) বেশি থাকছে না, যেটুকু থাকছে সেটুকুও আমরা পর্যায়ক্রমে পূরণ করে ফেলব।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এখানে দুটি ল্যাব দেখেছি। একটি ওষুধের আর একটি ভ্যাকসিনের। আমাদের যে ওষুধের ল্যাব আছে সেটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন দিয়েছে। সেই অনুমোদনের ফলে আমাদের ল্যাব আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল। এখানে আমাদের যত ওষুধ কোম্পানি আছে সে ওষুধের মান প্রতিনিয়ত পরীক্ষা করা হয় এবং সে মান বজায় রাখার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করা হয়। আগামীতে এই ল্যাবরেটরিতে কোভিড ভ্যাকসিনও পরীক্ষা করা হবে।

Tag :

অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

“আমাদের জনসংখ্যার যারা ১৮ বছরের নিচে তারা কিন্তু ভ্যাকসিন গ্রহণ করবে না যা প্রায় ৪০ শতাংশ” স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক

Update Time : ০৫:১৩:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০

বাংলাদেশে ১৮ বছরের কম বয়সীদের এই মুহূর্তে করোনার টিকা লাগবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমাদের জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পাবে যা প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি। আমাদের জনসংখ্যার যারা ১৮ বছরের নিচে তারা কিন্তু ভ্যাকসিন গ্রহণ করবে না যা প্রায় ৪০ শতাংশ। পৃথিবীর কোথাও তাদের ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে না এবং তাদের ট্রায়ালও হয়নি।

রোববার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে ভ্যাকসিন ল্যাব পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

ডা. জাহিদ বলেন, আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বয়স ২৫ বছরের নিচে। আর ১৮ বছরের নিচে ৪০ শতাংশ মানুষ। এই মুহূর্তে এদের ভ্যাকসিনের দরকার নেই। এছাড়া গর্ভবতী নারী ও কিছু অন্য জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের এই ভ্যাকসিন দেয়া হবে না। কাজেই আমাদের মোট জনসংখ্যার প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষের এই মুহূর্তে ভ্যাকসিন প্রয়োজন হবে না।

তিনি বলেন, এক কোটি লোক দেশের বাইরে থাকে। তাতে আমাদের হিসাবে আছে, প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষের এই মুহূর্তে ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে না। আর যে ভ্যাকসিন দেয়া হবে সেটাও প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি। কাজেই গ্যাপ (জনসংখ্যা বাকি) বেশি থাকছে না, যেটুকু থাকছে সেটুকুও আমরা পর্যায়ক্রমে পূরণ করে ফেলব।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এখানে দুটি ল্যাব দেখেছি। একটি ওষুধের আর একটি ভ্যাকসিনের। আমাদের যে ওষুধের ল্যাব আছে সেটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন দিয়েছে। সেই অনুমোদনের ফলে আমাদের ল্যাব আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল। এখানে আমাদের যত ওষুধ কোম্পানি আছে সে ওষুধের মান প্রতিনিয়ত পরীক্ষা করা হয় এবং সে মান বজায় রাখার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করা হয়। আগামীতে এই ল্যাবরেটরিতে কোভিড ভ্যাকসিনও পরীক্ষা করা হবে।