ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০২০ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে ‘এমব্রেসিং ডিজিটাল টেকনোলজিস ইন নিউ নরমাল’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এই মন্তব্য করেন তিনি।
জয় বলেন, “আসছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পথে বাংলাদেশ আগামীর নেতা হতে চলেছে, এটা আমার বিশ্বাস। আমি আশা করি, বাংলাদেশ হবে এ শিল্প বিপ্লবের মূল নেতা।”
এই আশার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “আমাদের সক্ষমতা আছে। আমরা প্রমাণ করেছি,আমরা তা করতে পারি।”
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা জয় বলেন, “শুধু অন্যের প্রযুক্তি গ্রহণ করা নয়, আমরা এখন প্রযুক্তির পরবর্তী প্রজন্মের নেতা হতে চাই। পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন করতে চাই আমরা।
“আমি বিশ্বাস করি, এটা কোনো স্বপ্ন না, এটা সম্ভব। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কোন প্রযুক্তি আসছে, সেটা তো না জানলে চলছে না। কিন্তু আমি প্রতিজ্ঞা করছি, তার কিছু একটা বাংলাদেশ থেকেই আসবে।”
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ সচল থাকার বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।
“মহামারীকালে যে নিউ-নরমাল পরিস্থিতি চলছে, তাতে প্রযুক্তি মূল ভূমিকা রাখছে। বিশ্বের প্রায় সবগুলোই দেশই অর্থনৈতিক নানা কর্মকাণ্ড বন্ধ করে রেখেছে। ২০২০ সাল আমাদের একেবারে অপ্রস্তুত করে দিয়েছে। এখানেই কিন্তু ডিজিটাইজেশন মূল্যটা দেখিয়েছে। অর্থনীতির সবকিছুই তো চলছে ভার্চুয়ালি।”
জয় বলেন, “আমরা এখন পরবর্তী অধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে আছি… দেখব ভবিষ্যতে কোন প্রযুক্তি আসছে।”
“চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য বাংলাদেশ আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স, ব্লক চেইন, আইওটি, ন্যানো টেকনোলজি, বায়ো টেকনোলজি, রোবোটিকস, মাইক্রোপ্রসেসর ডিজাইন, সফটওয়্যার ডিজাইনের মতো ক্ষেত্রগুলোতে নজর রাখছে বাংলাদেশ “
তিনি আরও বলেন “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য আমরা ফোকাস করছি গবেষণায়,” বলেন তিনি।
এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ অনলাইন নিরাপত্তা ও ডেটা নিরাপত্তার দিকে নজর রাখবে বলে জানান জয়।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ, জৈবপ্রযুক্তির উদ্ভাবন, কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের মতো বিষয়গুলো নিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা ডিজিটাল বিপ্লব অতি দ্রুত বিশ্বকে বদলে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।