দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘন কুয়াশা আর শীতের প্রকোপে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, তাদের ধারণা ছিল- হালকা বাতাস শুরু হওয়ায় কুয়াশা সরে গিয়ে সূর্যের আলোর দেখা মিলবে। ভূমধ্যসাগর থেকে আসা এই কুয়াশা সরে গিয়ে হিমালয়ের পাদদেশে বৃষ্টি হয়ে ঝরে বিদায় নেবে। সেই ভরসায় থাকতে না থাকতে আরব সাগর থেকে আসা বাতাসের সঙ্গে একরাশ জলীয় বাষ্পও এসে উপস্থিত হয়েছে। ফলে চার দিন ধরে জমে থাকা কুয়াশা আরও ঘন হয়ে উঠেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদেরা সাংবাদিকদের বলেন, আরব সাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ুর কারণে এ কুয়াশা তৈরি হয়েছে। এটি আরও দু–এক দিন থাকতে পারে। সোম–মঙ্গলবার থেকে কুয়াশা কেটে গিয়ে সূর্যের দেখা পাওয়া যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সোমবার সূর্যের দেখা পাওয়ার পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও ধীরে ধীরে তাপমাত্রা আবারও কমতে থাকবে। বিশেষ করে পশ্চিমা লঘুচাপ ছড়িয়ে পড়ায় সারা দেশেই শীতের অনুভূতি বেড়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা দ্রুত কমে উত্তরাঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।
শুক্রবার সারা দিন আবছায় কেটেছে। দিনের তাপমাত্রা খুব বেশি না কমলেও শীতের অনুভূতি কিন্তু বেড়েই চলেছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এই ঘন কুয়াশা আরও দু–এক দিন থাকতে পারে। অর্থাৎ, রোববারের পর আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে পারে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশা আরও বাড়তে পারে। তবে আগামীকাল শনিবার দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে নদীতীরবর্তী এলাকায় কুয়াশা বাড়তে পারে।
আজ দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল সীতাকুণ্ডে ১৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।