ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে সরকারিভাবে কেনা আরো ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। মঙ্গলবার অধিদফতর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভারত থেকে টিকার প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ গতকাল সোমবার দেশে পৌঁছায়।বিমানবন্দর থেকে টিকাগুলো বেক্সিমকোর টঙ্গীর ওয়্যারহাউসে নিয়ে রাখা হয়। এরপর সেগুলোর নমুনা পরীক্ষার জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছিল।
মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, টিকার প্রতিটি লটের নমুনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। বুধবার এই টিকা দিয়েই শুরু হবে করোনাভাইরাসের টিকাদান।
করোনা মহামারির মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ টিকা পেতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে দেশি প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মা ও সরকারের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী সোমবার প্রথম চালানের ৫০ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসে।
দেশে বুধবার ড্রাই রান বা টিকাদানের মহড়া শুরু হবে। ওইদিন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এক নার্সকে টিকাদানের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রথম দিন সরাসরি করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে টিকা দেওয়া হবে।
ব্যাপক হারে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চারশ থেকে পাঁচশ জনকে টিকা দিয়ে সাত দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
এরপর ৮ ফেব্রুয়ারি গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। প্রতিদিন দুই লাখ ডোজ করে প্রথম মাসে ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হবে
তিন কোটি ডোজ কিনতে গত ৫ নভেম্বর সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে টিকার ৫০ লাখ ডোজ করে পাঠানোর কথা সেরাম ইন্সটিটিউটের। এর আগে ভারত সরকারের কাছ থেকে সহায়তার নিদর্শন হিসাবে একই টিকার ২০ লাখ ডোজ পাওয়া গেছে। সরকার ২৭ জানুয়ারি থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।