মিয়ানমারের কোনো যুদ্ধবিমান বা হেলিকপ্টার যাতে বাংলাদেশের আকাশ সীমানায় প্রবেশ না করে, সে বিষয়ে দেশটিকে সতর্ক করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসা মর্টারশেলের আঘাতে দুজন নিহতে ঘটনায় মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পাঠানো প্রতিবাদপত্রে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
এর আগে, সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ সময় তার হাতে প্রতিবাদপত্র তুলে দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (মিয়ানমার অনুবিভাগ) মিয়া মো. মাইনুল কবির। প্রতিবাদপত্রে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসা মর্টারশেলের আঘাতে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করা হয়।
পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রাণহানি বা সম্পত্তির জন্য ক্ষতিকারক এমন কোনো ধরনের অগ্রহণযোগ্য কর্মকাণ্ড বন্ধে মিয়ানমার সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। রাখাইন থেকে আর কোনো বাস্তুচ্যুতকে বাংলাদেশ গ্রহণ করবে না বলে রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে। মিয়ানমার বিমানবাহিনী সীমান্তের খুব কাছে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে এবং তারা যেন বাংলাদেশ সীমানায় না প্রবেশ করে, সে বিষয়ে তাদের সতর্ক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমার বিমানবাহিনী সীমান্তের খুব কাছে নিয়মিত অপারেশন চালাচ্ছে এবং তারা যেন বাংলাদেশ সীমানায় না প্রবেশ করে, সে বিষয়ে তাদের সতর্ক করা হয়।
জবাবে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়গুলো তার সরকারকে অবহিত করা হবে বলে জানান। এ ছাড়া বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ সদস্যদের দ্রুততার সঙ্গে দেশে ফেরত নেয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সেনাবাহিনী ও দেশটির বিদ্রাহী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। বিদ্রোহীদের হামলায় মিয়ানমার সীমান্ত বাহিনীর সদস্যরা প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। বিদ্রোহীদের দমন করতে মিয়ানমার সরকার আকাশপথে বিমান ও হেলিকপ্টার থেকে গুলি ও গোলা ছুঁড়ছে।