ঢাকা ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ফরিদপুরে চলাচলের অযোগ্য সড়ক মেরামত করলো যুবদল কর্মীরা আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় কোনো জঙ্গি হামলার শঙ্কা নেই ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফায় ফের রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ, আহত ১০ বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে শিশুদের সুন্দর বিকাশের জন্য গুরুত্ব প্রদান করা আমাদের সবার দায়িত্ব রাস্তা ঘেষে বেকু দিয়ে মাটি কাটায় ধসে যাচ্ছে ফরিদপুর লেকপাড়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আজকের নামাজের সময়সূচি ৭ অক্টোবর আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা তিন পার্বত্য জেলায় কঠিন চীবর দান উদযাপন না করার সিদ্ধান্ত সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম কিছুটা কমেছে

আল জাজিরার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৪:৪০:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ২৮৩ Time View

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘খুবই দুঃখজনক হলেও সত্য আল-জাজিরা তাদের বিশ্বাস যোগ্যতা হারাচ্ছে। আমরা এই নিউজের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করবো। এই নিউজে তথ্যগত যে ভুল রয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেব।’

আজ বুধবার ( ৩ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। আল জাজিরার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা সরকার ভেবে দেখবে বলেও জানান তিনি।

ড. আব্দুল মোমেনের মতে, ‘আল-জাজিরার কাজ হলো মুসলমান দেশগুলোর দোষ বের করা। খুবই দুঃখজনক আমাদের একজন জামাই এটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে তথ্যগত ত্রুটি আছে । এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ বুধবার ঢাকায় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্প্রচারের ক্ষেত্রে আলজাজিরা আরো দায়িত্বশীল হবে বলে তিনি আশা করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আল জাজিরা একটা প্রতিবেদন করেছে, একটা ছবি দিয়েছে।  সেখানে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পেছনে দাঁড়ানো দুই ভদ্রলোক, দুই ভাই যারা বিতর্কিত, বলছে তারা প্রধানমন্ত্রীর বডিগার্ড।  যেটি ডাহা মিথ্যা।  উনার (প্রধানমন্ত্রী) কোনো বডিগার্ড নেই, বিরোধী দলে থাকাবস্থায়ও ছিল না, সব নেতাকর্মীরাই তার বডিগার্ড।  এখন এসএসএফ আছে। কেউ পেছনে এসে ছবি তুললেই বডিগার্ড হয়ে যায় না।  এটি তাদের মিথ্যা সংবাদ। আল জাজিরার মতো নামকরা গণমাধ্যম এ ধরণের সংবাদ করতে পারে, বিষয়টি অবাক করার। তাদের (আলজাজিরা) উচিত ক্ষমা চাওয়া।

এ কে মোমেন বলেন, আপনারা জানেন যে, আল জাজিরা বাংলাদেশের ভালো জিনিস দেখতে পারে না। আল জাজিরার কাজই হচ্ছে মুসলিম দেশগুলোর দোষ খুঁজে বের করা। সেখানে অনেকে ফান্ডিং করে।  ব্রিটিশরা নিয়ন্ত্রণ করে এটি।  আমাদের একজন জামাই তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন।  যেটি খুবই দু:খজনক, যারা সবসময়ই ভালো জিনিসের বিপক্ষে আছেন।

আল জাজিরার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, না আমরা সরাসরি যোগাযোগ করি নাই। আমরা এই প্রতিবেদনের নিন্দা জানিয়েছি।

বাংলাদেশে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আল জাজিরা বলেছে আরো কয়েকটি প্রতিবেদন দেখাবে। তাদের সম্প্রচার বন্ধ করার আপাতত কোনো পরিকল্পনা নাই।  কারণ আমরা বন্ধ করে খুব একটা লাভ নাই, পৃথিবী এখন উন্মুক্ত। আমরা আশা করব, আলজাজিরা আরো দায়িত্বশীল হবে।  অনেকে ধারণা করছেন, অনেকে পয়সা দিয়ে আলজাজিরাকে দিয়ে এই প্রতিবেদন করিয়েছে।

আল জাজিরা তার গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকায় আলজাজিরা দেখা যায় না।  অতিরিক্ত টাকা দিয়ে দেখতে হয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদন পেইড নিউজ কিনা এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, সে রকমই তো মনে হচ্ছে।  এ কারণে এটি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।

আল জাজিরার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আমরা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব।  প্রতিবেদনে তথ্যগত ত্রুটি রয়েছে।  এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলার সময় আপনারা দেখেছেন, শেখ হাসিনার বডিগার্ড কারা ছিল?  এই সুরঞ্জিত (সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত), এই সাবের হোসেন (সাবের হোসেন চৌধুরী), এই মায়া (মোফাজ্জল হোসেন মায়া) ভাই এরাই ছিলেন বডিগার্ড।  কোনো রকমের পয়সা দিয়ে বডিগার্ড শেখ হাসিনা কখনও নিতেন না।  আর বডিগার্ডের সিস্টেম তো সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছে।  কিন্তু ওরা (আল জাজিরা) বড় করে দিয়ে দিল, দুই ছেলে ওরা বডিগার্ড।  প্রতিবেদনে তথ্যগত যে ভুল আছে সেটির বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই আমরা লিগ্যাল অ্যাকশনে যেতে পারি।

Tag :
জনপ্রিয়

ফরিদপুরে চলাচলের অযোগ্য সড়ক মেরামত করলো যুবদল কর্মীরা

আল জাজিরার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ

Update Time : ০৪:৪০:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘খুবই দুঃখজনক হলেও সত্য আল-জাজিরা তাদের বিশ্বাস যোগ্যতা হারাচ্ছে। আমরা এই নিউজের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করবো। এই নিউজে তথ্যগত যে ভুল রয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেব।’

আজ বুধবার ( ৩ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। আল জাজিরার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা সরকার ভেবে দেখবে বলেও জানান তিনি।

ড. আব্দুল মোমেনের মতে, ‘আল-জাজিরার কাজ হলো মুসলমান দেশগুলোর দোষ বের করা। খুবই দুঃখজনক আমাদের একজন জামাই এটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে তথ্যগত ত্রুটি আছে । এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ বুধবার ঢাকায় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্প্রচারের ক্ষেত্রে আলজাজিরা আরো দায়িত্বশীল হবে বলে তিনি আশা করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আল জাজিরা একটা প্রতিবেদন করেছে, একটা ছবি দিয়েছে।  সেখানে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পেছনে দাঁড়ানো দুই ভদ্রলোক, দুই ভাই যারা বিতর্কিত, বলছে তারা প্রধানমন্ত্রীর বডিগার্ড।  যেটি ডাহা মিথ্যা।  উনার (প্রধানমন্ত্রী) কোনো বডিগার্ড নেই, বিরোধী দলে থাকাবস্থায়ও ছিল না, সব নেতাকর্মীরাই তার বডিগার্ড।  এখন এসএসএফ আছে। কেউ পেছনে এসে ছবি তুললেই বডিগার্ড হয়ে যায় না।  এটি তাদের মিথ্যা সংবাদ। আল জাজিরার মতো নামকরা গণমাধ্যম এ ধরণের সংবাদ করতে পারে, বিষয়টি অবাক করার। তাদের (আলজাজিরা) উচিত ক্ষমা চাওয়া।

এ কে মোমেন বলেন, আপনারা জানেন যে, আল জাজিরা বাংলাদেশের ভালো জিনিস দেখতে পারে না। আল জাজিরার কাজই হচ্ছে মুসলিম দেশগুলোর দোষ খুঁজে বের করা। সেখানে অনেকে ফান্ডিং করে।  ব্রিটিশরা নিয়ন্ত্রণ করে এটি।  আমাদের একজন জামাই তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন।  যেটি খুবই দু:খজনক, যারা সবসময়ই ভালো জিনিসের বিপক্ষে আছেন।

আল জাজিরার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, না আমরা সরাসরি যোগাযোগ করি নাই। আমরা এই প্রতিবেদনের নিন্দা জানিয়েছি।

বাংলাদেশে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আল জাজিরা বলেছে আরো কয়েকটি প্রতিবেদন দেখাবে। তাদের সম্প্রচার বন্ধ করার আপাতত কোনো পরিকল্পনা নাই।  কারণ আমরা বন্ধ করে খুব একটা লাভ নাই, পৃথিবী এখন উন্মুক্ত। আমরা আশা করব, আলজাজিরা আরো দায়িত্বশীল হবে।  অনেকে ধারণা করছেন, অনেকে পয়সা দিয়ে আলজাজিরাকে দিয়ে এই প্রতিবেদন করিয়েছে।

আল জাজিরা তার গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকায় আলজাজিরা দেখা যায় না।  অতিরিক্ত টাকা দিয়ে দেখতে হয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদন পেইড নিউজ কিনা এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, সে রকমই তো মনে হচ্ছে।  এ কারণে এটি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।

আল জাজিরার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আমরা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব।  প্রতিবেদনে তথ্যগত ত্রুটি রয়েছে।  এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলার সময় আপনারা দেখেছেন, শেখ হাসিনার বডিগার্ড কারা ছিল?  এই সুরঞ্জিত (সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত), এই সাবের হোসেন (সাবের হোসেন চৌধুরী), এই মায়া (মোফাজ্জল হোসেন মায়া) ভাই এরাই ছিলেন বডিগার্ড।  কোনো রকমের পয়সা দিয়ে বডিগার্ড শেখ হাসিনা কখনও নিতেন না।  আর বডিগার্ডের সিস্টেম তো সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছে।  কিন্তু ওরা (আল জাজিরা) বড় করে দিয়ে দিল, দুই ছেলে ওরা বডিগার্ড।  প্রতিবেদনে তথ্যগত যে ভুল আছে সেটির বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই আমরা লিগ্যাল অ্যাকশনে যেতে পারি।