আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ফরিদপুর জেলায় নিরাপত্তা ও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সব ধরণের আতশবাজি, পটকা ফোটানো এবং উচ্চ শব্দে সাউন্ড বাজানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লা।
জনস্বার্থে নেওয়া হচ্ছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা
সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, “ফরিদপুরবাসী যেন পবিত্র ঈদুল আযহা নির্বিঘ্নে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করতে পারেন, সে জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।” বিশেষ করে কোরবানির পশুর হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের যাতে কোনো সমস্যায় না পড়তে হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ঈদ সামনে রেখে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, র্যাব, এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকবে।
ঈদের নামাজ ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা
সভায় ঈদের প্রধান জামাতের সময় ও স্থানের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়। জানানো হয়, ফরিদপুর শহরের চাঁনমারি ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদুল আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়।
এছাড়াও সভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর সমন্বয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন প্রশাসন ও গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা
সভায় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল জলিল, পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক চৌধুরী রওশন ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী বাকাহিদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহরাব হোসেন, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান প্রমুখ।
এছাড়াও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, আনসার ভিডিপি, র্যাব-১০, জেলার বিভিন্ন থানার পুলিশ প্রতিনিধি এবং অন্যান্য সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সভায় অংশগ্রহণ করেন।