প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ নদের তীরে জড়ো হতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা। আগামী শুক্রবার শুরু হয়ে রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ পর্ব। একে ঘিরে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন দেশি-বিদেশি মেহমানসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
আজ বুধবার সকালে ইজতেমা ময়দানে গিয়ে দেখা যায়, ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়েছে মাঠের বেশিরভাগ অংশ। পোঁতা হয়েছে বাঁশের খুঁটি। টানানো হয়েছে চটের শামিয়ানা। সেখানে জমায়েত হচ্ছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মুসল্লিরা। গাট্টিবোঁচকা নিয়ে মাঠের নির্ধারিত জায়গায় (খিত্তা) আপাতত অবস্থান করছেন তারা।
ইজতেমা উপলক্ষে জেলাগুলোকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। কে কোন ধাপে অংশগ্রহণ করবে, তা ইতোমধ্যে জেলাওয়ালাদের জানানো হয়েছে। প্রথম ধাপে ঢাকার একাংশসহ মোট ৪১টি জেলার মুসল্লি অংশ নেবে। দ্বিতীয় ধাপে ঢাকার একাংশসহ ২২টি জেলার মুসল্লিরা অংশ নেবে।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের ইজতেমা আয়োজক কমিটির মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এবারের ইজতেমা শুরায়ি নেজামের অধীনে দুই ধাপে হবে। প্রথম ধাপ ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় ধাপ ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমার তারিখ আলাদাভাবে ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে প্রথম পর্বে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি মাওলানা জোবায়েরের অনুসারী এবং দ্বিতীয় পর্বে ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের ইজতেমা পালনের কথা। কিন্তু গত ১৭ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ইজতেমা মাঠে জোড় পালনকে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তিন মুসল্লি নিহত হন।
মাওলানা জোবায়ের অনুসারীদের গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ‘ইজতেমা উপলক্ষে আমাদের মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ। এখন বিভিন্ন জেলার জিম্মাদারেরা মাঠে প্রবেশ করছেন। তারা মাঠের বিভিন্ন জিনিস ঠিকঠাক করবেন। আর আজ বুধবার সকাল থেকে মুসল্লিরা পুরোদমে মাঠে প্রবেশ শুরু করেছেন।’
অন্যদিকে, মাওলানা সাদ কান্ধলভি অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম জানান, তাদের ইজতেমা ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা হবে।
এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান জানান, ইজতেমা উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।