ইন্দোনেশিয়ায় সাগরে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির একটি ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করা হয়েছে; এই যন্ত্রেই মিলতে পারে দুর্ঘটনার কারণ ও আনুষাঙ্গিক কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ওই ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করা হয়। তবে উড়োজাহাজটির আরেকটি ব্ল্যাকবক্সের সন্ধান এখনও মেলেনি। যার সন্ধানে তল্লাশি চলছে।
বিবিসি জানিয়েছে, একটি ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার হয়েছে। এটি ডেটা রেকর্ডার। ককপিট ভয়েস রেকর্ডার খোঁজা হচ্ছে। এর বাইরে আরেকটি ব্ল্যাকবক্স আছে। ডেটা বিশ্লেষণ করে উড়োজাহাজটির দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটন সম্ভব হবে বলে মনে করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার জাকার্তা থেকে পনতিয়ানাক যাওয়ার পথে সাগরে বিধ্বস্ত হয় বোয়িং ৭৩৭। এতে ১২ ক্রু ও ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। সবাই ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। দুর্ঘটনায় কেউই আর বেঁচে নেই।
ফ্লাইট পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে উড়োজাহাজটি তিন হাজার মিটার নিচে নেমে আসে। তারপর আর যোগাযোগ করা যায়নি। স্থানীয় সময় শনিবার ২টা ৪০ মিনিটে উড়োজাহাজটির সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়ার সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সি জানায়, ভারী বৃষ্টির মধ্যে উড্ডয়নের চার মিনিটের মাথায় ২৬ বছরের পুরোনো উড়োজাহাজটি হারিয়ে যায়।
ইন্দোনেশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী বলেছেন, বিমানটি রাডার থেকে হারানোর আগ মুহূর্তে এয়ার ট্রাফিকের পক্ষ থেকে এর গতিপথ পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। উড়োজাহাজটির পাইলটও ছিলেন অভিজ্ঞ। বিমানবাহিনীর সাবেক ওই পাইলট কয়েক দশক ধরে উড়োজাহাজ চালাচ্ছিলেন।
সর্বশেষ রোববার জাভা সাগরে উড়াজাহাজটির দুটি ব্ল্যাকবক্সের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। তা উদ্ধার এরপরই শুরু হয় অভিযান। এই ব্ল্যাকবক্সই দিতে পারে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়া নিয়ে নানা তথ্য। কর্তৃপক্ষ এখন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে।