ঢাকা ০৩:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
নভেম্বরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১৩. ৮০ শতাংশ মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতমূলক পরিবেশের কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: পুতিন শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার না করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত আজ ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশি রোগী বয়কট না করার সিদ্ধান্ত ভারতের চিকিৎসকদের ক্ষমতায় আসার মাত্র তিন মাসের মধ্যেই ক্ষমতাচ্যুত হচ্ছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ে গাজা উপত্যকার ‘সেফ জোন’ লক্ষ্য করে আবারও বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, ‘পুড়ে ছাই’ নারী-শিশুসহ ২০ জন পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা অবমাননার অভিযোগে তিনজনকে আটক এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ আজকের নামাজের সময়সূচি ৫ ডিসেম্বর

ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে পৌঁছাতে মাত্র ১২ মিনিট সময় লাগবে

ইরানের কাছে যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আছে সেটি ইরান থেকে ইসরায়েলে পৌঁছাতে মাত্র ১২ মিনিট সময় লাগবে। আর তাদের ক্রুস ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর সেটি ইসরায়েলে আঘাত হানতে পারবে দুই ঘণ্টার মধ্যে। ইরানের কাছে যেসব ড্রোন রয়েছে সেগুলো ইসরায়েলে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৯ ঘণ্টা। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ এ তথ্য জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা দপ্তরের সূত্রমতে, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের কাছেই সবচেয়ে বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে জানিয়েছেন, ইরান ১০০ ড্রোন এবং কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, যদি ইরান এই আকারে হামলা চালায় তাহলে এটি ঠেকানো ইসরায়েলের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।

ইরানের কাছে থাকা ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে কোনগুলো ইসরায়েলে পৌঁছাতে পারবে, গত সপ্তাহে সেটির একটি গ্রাফিক্স তৈরি করেছে ইরানি বার্তাসংস্থা ইসনা। এতে তারা বলেছে, ইরানের ৯টি ড্রোন সরাসরি ইসরায়েলে আঘাত হানতে পারবে।

যার মধ্যে রয়েছে ‘সেজিল’ নামের একটি ক্ষেপণাস্ত্র। যেটি ঘণ্টায় ১৭ হাজার কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে এবং এটি ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভূলভাবে আঘাত হানতে পারবে। আরেকটি হলো ‘খেইবার’ ড্রোন। এটি ২ হাজার কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যেতে পারে। অপর আরেকটি ড্রোন হলো ‘হাজ কাশেম’। এই ড্রোন ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরের বস্তুতে আঘাত হানতে পারবে।

গত বছরের আগস্টে ইরান জানিয়েছিল, তারা ‘মোহাজের-১০’ নামের একটি ড্রোন তৈরি করেছে। যেটি ২ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে এবং একটানা ২৪ ঘণ্টা আকাশে উড়তে সক্ষম। এই ড্রোনটি শুধুমাত্র এত দূর যেতে পারে শুধ তাই নয়; ড্রোনটি সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারবে ৩০০ কেজি বিস্ফোরক। গত বছরের জুনে নিজ প্রযুক্তিতে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কথাও জানিয়েছিল ইরান। একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ দ্রুত গতিতে ছুটতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ইরানের স্বল্পপাল্লার এবং মাঝারিপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে— শাহাব-১, যেটির আনুমানিক দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটার।  জোলফাঘর- ৭০০ কিমি, শাহাব-৩, ৮০০ থেকে ১ হাজার কিলোমিটার এবং এমাদ-১, যেটি ২ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে।

Tag :
জনপ্রিয়

নভেম্বরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১৩. ৮০ শতাংশ

ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে পৌঁছাতে মাত্র ১২ মিনিট সময় লাগবে

Update Time : ০৩:২৭:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

ইরানের কাছে যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আছে সেটি ইরান থেকে ইসরায়েলে পৌঁছাতে মাত্র ১২ মিনিট সময় লাগবে। আর তাদের ক্রুস ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর সেটি ইসরায়েলে আঘাত হানতে পারবে দুই ঘণ্টার মধ্যে। ইরানের কাছে যেসব ড্রোন রয়েছে সেগুলো ইসরায়েলে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৯ ঘণ্টা। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ এ তথ্য জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা দপ্তরের সূত্রমতে, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের কাছেই সবচেয়ে বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে জানিয়েছেন, ইরান ১০০ ড্রোন এবং কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, যদি ইরান এই আকারে হামলা চালায় তাহলে এটি ঠেকানো ইসরায়েলের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।

ইরানের কাছে থাকা ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে কোনগুলো ইসরায়েলে পৌঁছাতে পারবে, গত সপ্তাহে সেটির একটি গ্রাফিক্স তৈরি করেছে ইরানি বার্তাসংস্থা ইসনা। এতে তারা বলেছে, ইরানের ৯টি ড্রোন সরাসরি ইসরায়েলে আঘাত হানতে পারবে।

যার মধ্যে রয়েছে ‘সেজিল’ নামের একটি ক্ষেপণাস্ত্র। যেটি ঘণ্টায় ১৭ হাজার কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে এবং এটি ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভূলভাবে আঘাত হানতে পারবে। আরেকটি হলো ‘খেইবার’ ড্রোন। এটি ২ হাজার কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যেতে পারে। অপর আরেকটি ড্রোন হলো ‘হাজ কাশেম’। এই ড্রোন ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরের বস্তুতে আঘাত হানতে পারবে।

গত বছরের আগস্টে ইরান জানিয়েছিল, তারা ‘মোহাজের-১০’ নামের একটি ড্রোন তৈরি করেছে। যেটি ২ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে এবং একটানা ২৪ ঘণ্টা আকাশে উড়তে সক্ষম। এই ড্রোনটি শুধুমাত্র এত দূর যেতে পারে শুধ তাই নয়; ড্রোনটি সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারবে ৩০০ কেজি বিস্ফোরক। গত বছরের জুনে নিজ প্রযুক্তিতে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কথাও জানিয়েছিল ইরান। একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ দ্রুত গতিতে ছুটতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ইরানের স্বল্পপাল্লার এবং মাঝারিপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে— শাহাব-১, যেটির আনুমানিক দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটার।  জোলফাঘর- ৭০০ কিমি, শাহাব-৩, ৮০০ থেকে ১ হাজার কিলোমিটার এবং এমাদ-১, যেটি ২ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে।