ইরান ও রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য। ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ সংক্রান্ত ইস্যুতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর উদ্ধৃতি দিয়ে এই খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের একটি এয়ারলাইন্স ও একটি শিপিং গ্রুপ এবং রুশ জাহাজ পোর্ট ওলিয়া-৩ এর ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়াই চলছে রাশিয়ার। আর সেই লড়াইয়ে ইউক্রেনকে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের একাধিক দেশ। এছাড়া পশ্চিমারা ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা করে আসছে।
অবশ্য শুধু রাশিয়াই নয়, বরং মস্কোকে সহায়তার অভিযোগে আরও বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার ওপরও তারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চলেছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র ইরান।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এয়ারলাইন্স এবং ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান শিপিং লাইন্সকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহে ভূমিকা রাখায় তাদের সম্পদ জব্দ করা হবে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি জানিয়েছেন, “বৈশ্বিক নিরাপত্তাকে দুর্বল করার ক্ষেত্রেই রাশিয়ার চেষ্টা বিপজ্জনক এবং অগ্রহণযোগ্য। আমরা ইউক্রেনে রাশিয়ার অবৈধ যুদ্ধে সমর্থন বন্ধ করতে ইরানের প্রতি আমাদের আহ্বান পূর্ণব্যক্ত করছি।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ায় সামরিক সরঞ্জাম পরিবহনে ভূমিকা রাখার জন্য রুশকার্গো শিপ পোর্ট ওলিয়া-৩ এর ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা শুরু করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে প্রায় ১২ হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আড়াই বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া— চারটি প্রদেশের আংশিক দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী।
এই চার প্রদেশের রাশিয়ার দখলে যাওয়া অংশের সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের এক-পঞ্চমাংশ। এছাড়া গত শুক্রবার রাশিয়ান বাহিনী পূর্বাঞ্চলের রণাঙ্গনেও অগ্রগতি অর্জন করেছে।