বুধবার সন্ধ্যায় অন্ধকার নামার পর সুমিলিক ফ্রিডম্যান সতর্ক করে বলেন, সামনে রয়েছে দীর্ঘ ও সংকটপূর্ণ সময়, কারণ ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জেরুজালেম শহরের উপকণ্ঠে ছড়িয়ে পড়া আগুনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন—যার ধীর হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে পাঠানো একজন রোগী বলেছিলেন যে তারা শেষ মুহূর্তে তাদের গাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। ওখানে বাতাস খুব গরম ছিল এবং পুরো গাড়িতে আগুন লাগার ঠিক আগেই তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
একই সময়ে দেশজুড়ে আরো অনেক স্থানে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে অতিরিক্ত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট। এ পর্যন্ত ডজনখানেক মানুষ আহত হয়েছে, তবে কারো অবস্থাই গুরুতর নয়।
বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে জেরুজালেম ফায়ার সার্ভিস বাহিনীর কমান্ডার সুমিলিক ফ্রিডম্যান বলেন, জেরুজালেম পাহাড়ের আগুন ‘এই দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দাবানল হতে পারে’ এবং এখনো এটি নিয়ন্ত্রণের ধারে-কাছেও আমরা পৌঁছায়নি।
তিনি জানান, আগুন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মেসিলাত সিয়োন এলাকায় শুরু হয়, যা বেইত শেমেশের কাছে অবস্থিত এবং তা প্রথমে প্রবল বাতাসে পশ্চিম দিকে ছড়িয়ে পড়ে, এরপর দিক পরিবর্তন করে পূর্বমুখী হয়।
তিনি বলেন, আমাদের কার্যক্রম অনেক দীর্ঘ সময় ধরে চলবে। আমরা এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণ থেকে অনেক দূরে। তিনি সতর্ক করে বলেন, আগুন আরো খারাপ হতে পারে, কারণ বাতাসের গতি ৯০-১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা (৫৬-৬২ মাইল প্রতি ঘণ্টা) পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আগুনের প্রকৃত কারণ এখনো পরিষ্কার নয়। ফ্রিডম্যান সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কোনো ধারণা নেই, এবং আমরা এখনো এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি না।
এদিকে দাবানল পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় গ্রিস, সাইপ্রাস, ক্রোয়েশিয়া, ইতালি ও বুলগেরিয়ার সহায়তা চেয়েছে দখলদার ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে গ্রিস ও ইতালির অগ্নিনির্বাপক বিমান ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। দখলদার ইসরায়েলের সেনাপ্রধান তার সেনাদের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন।