ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনের দিকে চোখ ছিল দুই দলেরই। তবে সকাল সকাল বোলিংয়ে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করে টাইগার বোলাররা। ম্যাচটা নিজেদের টিকে থাকার সমূহ সম্ভাবনা জাগিয়ে রাখেন মূলত তারাই। আবু জায়েদ রাহি, তাইজুল ও নাঈমদের বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা।
রান যাই হোক, কোনো উইকেট না হারিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যেতে চেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শনিবার দিন শেষে এমন পরিকল্পনার কথাই জানিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট শিকারি রাহকিম কর্নওয়াল।
কিন্তু ঘটল তার উল্টোটাই। মাত্র ১৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রানে গুটিয়ে গেল সফরকারীরা।
প্রথম সেশনে ২৭ ওভারে বাংলাদেশ রান দিয়েছে ৫৭। উইকেট তুলে নিয়েছে ৩টি। রাহি-তাইজুল অল্প রানে ফিরিয়েছেন মেয়ার্স ও ব্ল্যাকউডকে।
যদিও বাংলাদেশ দলের মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারত জসুয়া-বোনার জুটি। প্রথম ইনিংসে এ জুটি ছিলেন দুর্দান্ত। যথাক্রমে ৯০ ও ৯২ রানের বীরোচিত ইনিংস খেলেন বোনার ও জসুয়া।
আজ এ দুই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান দাঁড়িয়ে গেলে কিচ্ছু করার থাকবে না বাংলাদেশের। কিন্তু সেই শঙ্কাও দূর করে দিলেন তাইজুল।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর দ্বিতীয় ওভারেই জসুয়া-বোনার জুটিতে ভাঙন ধরালেন এ বাঁহাতি স্পিনার। তাইজুলের ওভারের তৃতীয় বলে ব্যাট চালাতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন জসুয়া। মুহূর্তেই তা লুফে নেন সৌম্য সরকার। মধ্যাহ্নবিরতির যাওয়ার আগে করা ২০ রানের সঙ্গে একটি রানও যোগ করতে পারেননি জসুয়া।
এরপর ক্রিজে টিকে থাকতে পারলেন না আলজারি জোসেফও। ফের তাইজুলের আঘাত।
পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই জোফেসকে সাজঘরের পথ দেখালেন তাইজুল। এবার সিলি মিড-অফে দাঁড়ানো শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ৯ রানে ফিরলেন জোসেফ।
জোসেফের পর টিকলেন না বোনারও। নাঈমের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে সরাসরি বোল্ড হলে বোনার। ১২০ বলে ৩৮ রানে ফিরলেন তিনি।
এরপরও
একই ওভারে নাঈমের শিকার হয়ে ১ রান করে ফিরলেন কর্নওয়াল। ১১৭ রানে অলআউট হয়ে গেল ওয়েষ্ট ইন্ডিজ।
অর্থাৎ জয় পেতে বাংলাদেশের দরকার ২৩১ রান।