ভারতের উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ধসের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় এ পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে ১৭০ জন।
কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় রোববার সকালে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার অলকানন্দ ও ধৌলিগঙ্গা নদীর উপর হিমবাহ ভেঙে পড়ে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হিমবাহ ধসের পর ধৌলিগঙ্গা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং এতে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে।
রোববারের এ ঘটনায় অলকনন্দা ও ধউলিগঙ্গা নদীতে প্রবল হড়পা বান দেখা দেয়, পানির তোড়ে পাঁচটি সেতু ভেসে যায়, ঘরবাড়ি ও নিকটবর্তী এনটিপিসি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়; ঋষিগঙ্গার কাছে একটি ছোট জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রও ধ্বংস হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয়গণমাধ্যম।
ঘটনাস্থলে জাতীয় ও রাজ্য দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ভারত-তীব্বত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কয়েকটি টিমও মোতায়েন করা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের ছয়টি কলাম ও দেশটির নৌবাহিনী সাতটি ডুবুরি দল পাঠিয়েছে।
যে ১৭০ জন নিখোঁজ রয়েছেন তাদের মধ্যে এনটিপিসির ১৪৮ জন কর্মী ও ঋষিগঙ্গার ২২ জন রয়েছেন বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, চামোলি জেলার তপোবনের কাছে একটি বিদ্যুৎপ্রকল্পের সুড়ঙ্গের মধ্যে কাজ করছিলেন ১৬ জন শ্রমিক, বানের সঙ্গে আসা কাদা ও পাথরে ওই সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। তাদের বেঁচে থাকার সম্ভবনা নিয়ে প্রবল আশঙ্কার মধ্যেই তল্লাশি অভিযান শুরু করেন ভারত-তীব্বত সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় এক একে তাদের সবাইকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ ওই সুড়ঙ্গ থেকে তাদের উদ্ধারে রাতভর কাজ করে উদ্ধারকারী দলগুলো। এ পর্যন্ত ১৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত অন্তত ছয় জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।