করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে পরীক্ষা ছাড়া এইচএসসি বা উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশে ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (সংশোধিত) আইন, ২০২১’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, আর মাত্র ছয় দিন পরে জাতীয় সংসদের অধিবেশন বসছে। এ জন্য মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখন এটি অধ্যাদেশ না করে সরাসরি ওই অধিবেশনের শুরুতে বিলটি উত্থাপন করে পাস করার ব্যবস্থা করা হবে। এরপর ২৫,২৬ বড় জোর ২৮ জানুয়ারির মধ্য এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ফল ঘোষণা করা হবে।
এবার করোনা ভাইরাসের কারণে বিদায়ী বছরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এর পরিবর্তে জেএসসি ও এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষার ভিত্তিতে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। কিন্তু এবার পরীক্ষা ছাড়াই কাজটি করতে হচ্ছে, সে জন্য আইন জটিলতা দেখা দেয়।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব বলেন, এইচএসসির ফলাফল তৈরি আছে। এ জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় অর্ডিন্যান্সের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল। কিন্তু মন্ত্রিসভা আসন্ন সংসদে উত্থাপনের জন্য ভেটিংসহ এটি অনুমোদন দিয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশে সংশোধিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড আইন অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এখন আর অধ্যাদেশ হচ্ছে না। সংশোধিত আইনের খসড়া আগামী ১৮ জানুয়ারি সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে উপস্থাপন ও পাসের পর এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হবে।’
তিনি জানান, সংশোধিত আইন অনুযায়ী দুর্যোগকালীন পরীক্ষা নিতে সক্ষম না হলে মূল্যায়ন তথা ফলাফল দেয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে পরীক্ষা ছাড়া ফল প্রকাশের বিধান নেই।