শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ফেবারিটের মতো ৭ উইকেটে জিতেছেন সাকিব-তামিমরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরে তুলেছে টানা তিন সিরিজ।
এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত করার ম্যাচে বল হাতে ঘূর্ণি তোলেন মেহেদি মিরাজ। ক্যারিয়ারের ৪৩তম ওয়ানডে ম্যাচে করেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। নেন ২৫ রানে ৪ উইকেট। অন্যদিকে ঘরের মাঠে শততম ওয়ানডে খেলতে নামা তামিম ইকবাল তুলে নেন ফিফটি। ৫০ রানের ইনিংস খেলে জেতেন অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজ।
আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে টানা দ্বিতীয় জয়ে বাংলাদেশের পয়েন্ট হলো ২০।
নিজের প্রিয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আবার উজ্জ্বল মিরাজ। তরুণ এই অফ স্পিনার ২৫ রানে নেন ৪ উইকেট, ওয়ানডেতে তার ক্যারিয়ার সেরা। আগের সেরাও ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই, ২৯ রানে ৪ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।
ম্যাচ জুড়ে দুর্দান্ত বোলিং করা মুস্তাফিজ ২ উইকেট নেন ১৫ রানে। আগের ম্যাচের নায়ক সাকিবেরও শিকার দুটি, ৩০ রানে। পরে ব্যাট হাতেও ভালো করেছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।
প্রথম ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে ১২২ রানে বিধ্বস্ত হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতেও ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ঝলমলে রোদে উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হবে ভেবেছিল তারা। কিন্তু বাংলাদেশের স্পিন ঘূর্ণির সামনে দাঁড়াতে পারেননি সফরকারীরা। ৪৩.৪ ওভারে অলআউট হয়ে যায় ১৪৮ রানে। জবাবে ৩৩.২ ওভারে সাকিব-মুশফিকের ব্যাটে ভর করে লক্ষ্যে পৌছে যায় বাংলাদেশ।
তামিমের ফিফটি ছাড়াও সাকিবের ব্যাট থেকে আসে হার না মানা ৪৩ রানের ইনিংস। মুশফিক করেন অপরাজিত ৯ রান। তার আগে ওপেনার লিটন দাস ২২ এবং তিনে নেমে নাজমুল হোসাইন শান্ত ১৭ রান যোগ করেন। টস জিতে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে বল হাতে প্রথম ধাক্কাটা দেন মুস্তাফিজ। এরপর মেহেদি মিরাজ এবং সাকিব তাদের কোণঠাসা করে ফেলে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন রোভম্যান পাওয়েল। এছাড়া ৩০ বছর বয়সী অভিষিক্ত ওপেনার কেজরন ওটলি ২৪ রান যোগ করেন। এনকরুমা বোনারের ব্যাট থেকে আসে ২০ রান। শেষ দিকে আলজারি জোসেপ ১৭ এবং আকিল হোসেন ১২ রান যোগ করেন। মিরাজের চার উইকেট ছাড়াও সাকিব এবং মুস্তাফিজ দুটি করে উইকেট নেন। আগামী ২৫ জানুয়ারি ক্যারিবীয়দের ধবলধোলাই করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে টাইগাররা।