ঢাকা ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
আজকের নামাজের সময়সূচি ১৫ জানুয়ারি আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আগামী সপ্তাহেই দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে একটি শৈত্যপ্রবাহ যুক্তরাজ্যের ইকোনোমিক সেক্রেটারির পদ থেকে টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেছেন জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠকে বসবে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতি কেজি এলপি গ্যাসের দাম ৩৭ পয়সা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে জাতীয় নির্বাচনের আহ্বান বিএনপির ফরিদপুরের সমাজসেবী আশরাফুল ইসলাম বুলুর ইন্তেকাল আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন অব্যাহত রেখেছেন পুলিশের ৪০তম অব্যাহতি পাওয়া এসআইরা আগামী সপ্তাহে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে

কঠোর লকডাউন দিতে যাচ্ছে জার্মানি

দেশটিতে আগামী বুধবার থেকে বন্ধ থাকবে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন সব দোকানপাটসহ স্কুল ও ডে-কেয়ার সেন্টার। সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও ডয়চে ভেলে এ খবর জানিয়েছে।

জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল দেশের রাজ্যপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠকের পর গতকাল রোববার এ ঘোষণা দেন। আগামী বুধবার অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া লকডাউনের এ নতুন বিধি ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

শীতের শুরু থেকে ইউরোপের দেশ জার্মানিতে করোনার প্রাদুর্ভাব আবারও বাড়ছে। এ কারণে গত অক্টোবরের শেষে জার্মানিতে দেশব্যাপী আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়। করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বড়দিনের সময়টায় তা কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সে বিষয়ে তৎপর হয় জার্মান সরকার।

জার্মানির রাজ্যপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেন, ‘করোনার বিস্তার ঠেকাতে আমাদের জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।’

নতুন করে আরোপ করা লকডাউনের সময় কম গুরুত্বপূর্ণ দোকানপাট ও সেবাপ্রদান যেমন সেলুন বন্ধ থাকবে।

স্কুল বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার কথা বলা হয়েছে। বন্ধ থাকবে ডে-কেয়ার সেন্টার। তবে মা-বাবারা সন্তানদের দেখাশোনার জন্য বেতনসহ ছুটিতে যেতে পারবেন।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের কর্মীদের বাসা থেকে অফিস করার জন্য উৎসাহিত করতে বলা হয়েছে।

উন্মুক্তস্থানে অ্যলকোহল পান করা যাবে না।

স্বাস্থ্যবিধি মানা সাপেক্ষে উপাসনালয় চালু রাখার অনুমতি রয়েছে। তবে দলগতভাবে ধর্মীয় সঙ্গীত গাওয়ার মত কাজগুলো করা যাবে না।

রাজ্য সরকারগুলো চাইলে বড়দিন উদযাপনের জন্য ২৪ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত লকডাউন বিধি কিছুটা শিথিল করতে পারে। সে ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি তার সরাসরি সম্পর্কিত আত্মীয়দের পরিবার থেকে সর্বার্ধিক চারজনকে নিজ বাড়িতে আমন্ত্রণ করতে পারবেন। সঙ্গে অনূর্ধ্ব ১৫ বছরের শিশুদেরও আমন্ত্রণ করা যাবে।

নতুন বছর উদযাপনে পটকা ব্যবহার করা যাবে না।

জার্মানিতে গত শনিবার মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৪৩৮ জন। এদিন দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪৯৬ জন মারা যায়।

জার্মানির হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। দেশের কোনো কোনো এলাকায় হাসপাতালের আইসিইউগুলো প্রায় ভর্তি হয়ে আছে।

Tag :
জনপ্রিয়

আজকের নামাজের সময়সূচি ১৫ জানুয়ারি

কঠোর লকডাউন দিতে যাচ্ছে জার্মানি

Update Time : ০৯:৪৬:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০

দেশটিতে আগামী বুধবার থেকে বন্ধ থাকবে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন সব দোকানপাটসহ স্কুল ও ডে-কেয়ার সেন্টার। সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও ডয়চে ভেলে এ খবর জানিয়েছে।

জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল দেশের রাজ্যপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠকের পর গতকাল রোববার এ ঘোষণা দেন। আগামী বুধবার অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া লকডাউনের এ নতুন বিধি ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

শীতের শুরু থেকে ইউরোপের দেশ জার্মানিতে করোনার প্রাদুর্ভাব আবারও বাড়ছে। এ কারণে গত অক্টোবরের শেষে জার্মানিতে দেশব্যাপী আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়। করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বড়দিনের সময়টায় তা কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সে বিষয়ে তৎপর হয় জার্মান সরকার।

জার্মানির রাজ্যপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেন, ‘করোনার বিস্তার ঠেকাতে আমাদের জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।’

নতুন করে আরোপ করা লকডাউনের সময় কম গুরুত্বপূর্ণ দোকানপাট ও সেবাপ্রদান যেমন সেলুন বন্ধ থাকবে।

স্কুল বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার কথা বলা হয়েছে। বন্ধ থাকবে ডে-কেয়ার সেন্টার। তবে মা-বাবারা সন্তানদের দেখাশোনার জন্য বেতনসহ ছুটিতে যেতে পারবেন।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের কর্মীদের বাসা থেকে অফিস করার জন্য উৎসাহিত করতে বলা হয়েছে।

উন্মুক্তস্থানে অ্যলকোহল পান করা যাবে না।

স্বাস্থ্যবিধি মানা সাপেক্ষে উপাসনালয় চালু রাখার অনুমতি রয়েছে। তবে দলগতভাবে ধর্মীয় সঙ্গীত গাওয়ার মত কাজগুলো করা যাবে না।

রাজ্য সরকারগুলো চাইলে বড়দিন উদযাপনের জন্য ২৪ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত লকডাউন বিধি কিছুটা শিথিল করতে পারে। সে ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি তার সরাসরি সম্পর্কিত আত্মীয়দের পরিবার থেকে সর্বার্ধিক চারজনকে নিজ বাড়িতে আমন্ত্রণ করতে পারবেন। সঙ্গে অনূর্ধ্ব ১৫ বছরের শিশুদেরও আমন্ত্রণ করা যাবে।

নতুন বছর উদযাপনে পটকা ব্যবহার করা যাবে না।

জার্মানিতে গত শনিবার মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৪৩৮ জন। এদিন দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪৯৬ জন মারা যায়।

জার্মানির হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। দেশের কোনো কোনো এলাকায় হাসপাতালের আইসিইউগুলো প্রায় ভর্তি হয়ে আছে।