করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে বাংলাদেশেও। আসন্ন শীতে এই প্রকোপ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় মাস্ক পরার কোনো বিকল্প দেখছে না সরকার। এজন্য মাস্ক পরা নিশ্চিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পাশাপাশি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে এ বিষয়ে প্রচার কার্যক্রমের নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই উদ্যোগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে বৈঠকে যুক্ত হন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফ করেন।
ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মাঠ প্রশাসন থেকে আমাদের কাছে সাজেশন এসেছে। তারা বলছেন, জরিমানা করার পরে, জেল দেয়ার পরে মানুষের মধ্যে ওইভাবে সচেতনতা আসছে না। সেক্ষেত্রে কাউকে ফাইন করলে সে বলে- ওই যে চার-পাঁচজন মাস্ক ছাড়া যাচ্ছে ওদের ফাইন করেন। সেজন্য তারা পরামর্শ দিয়েছে- স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে প্রচার করতে।’
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলে দিয়েছে, বিসিসিআইসহ যারা আছে তাদের সবাইকে এনশিউর করতে তাদের আওতাধীন সবাইকে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে, তাদের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে প্রচারণা করতে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উনার অঙ্গ-সংগঠনে যারা আছে তাদের সবাইকে ক্লিয়ার ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দিয়েছেন যে প্রোগ্রামেই যারা আসবেন, যত যাই করুক প্রোগ্রাম অবশ্যই তাদের মাস্ক পরতে হবে। তারা ম্যাসিভ ক্যাম্পেইন করবে।’
করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে সচিব বলেন, ‘যে ভাবসাব দেখা যাচ্ছে, যেভাবে বাড়ছে তাতে এটা আল্লাহ না করুক শীত যদি একটু বেশি পড়ে, তাহলে আরও নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট পড়বে। শুধু জেল-জরিমানা করলেই হবে না। মন্ত্রিসভা বলেছে, মাস্ক যদি না পরে কোনো কিছুই সফল করা সম্ভব হবে না।’
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় কাপড়ের মাস্ক দিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে সচিব বলেন, ‘তাহলে ধুয়ে ব্যবহার করতে পারবে। জেলা প্রশাসনসহ মাঠ প্রশাসনের সবাইকে বলে দিয়েছি এখন থেকে তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক দিতে।’
এর আগে মন্ত্রিসভা সবার মাস্ক পরা নিশ্চিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার উদ্যোগ নেয়। ইতিমধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে প্রশাসন। তবে মানুষের মধ্যে সচেতনতার এখনো অভাব রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।