স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১২ হাজার ২২৫ নমুনা পরীক্ষা করে দেশে ৩৬৯ শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
তাতে দৈনিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩ শতাংশ। আর দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৩৯ জন হয়েছে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৩ রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছিল। এক দিনে এর চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ২৫ এপ্রিল; সেদিন ৩০৯ জন রোগী শনাক্তের কথা জানানো হয়েছিল।
গত এক দিনে মারা যাওয়া ১৬ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ১২৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪৪৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭৪৪ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গতবছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গতবছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৩ জানুয়ারি তা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১০ কোটি ২৬ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২২ লাখ ২০ হাজার।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩১তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।