দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ১৯০ জনের।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩০৫ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৭৭০ জনে।
শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
দেশের সরকারি ও বেসরকারি ২০৬টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ১৩৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৩৭ লাখ ৩৬ হাজার ৬০৮টি।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার দুই দশমিক ৫১ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।
এদিকে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪১৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের গতি ধারাবাহিকভাবে কমছে।
এক সপ্তাহে নতুন রোগী শনাক্তের হার প্রায় ১৩ শতাংশ কমেছে, মৃত্যুর হার কমেছে ২৬ শতাংশ। দৈনিক শনাক্তের হারও ৩ শতাংশের নিচেই রয়েছে। দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শনিবার যে বুলেটিন দিয়েছে, তাতে এই তথ্য পাওয়া যায়।
বুলেটিনে ২৪-৩০ জানুয়ারি এবং ৩১ জানুয়ারি-৬ ফেব্রুয়ারির সংক্রমণ পরিস্থিতির তুলনা করে বলা হয়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন শনাক্ত রোগী কমেছে ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ, মৃত্যু কমেছে ২৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই সময়কালে নমুনা পরীক্ষাও ১ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ কম হয়েছে বলে জানানো হয়। অন্যদিকে সুস্থতার হার বেড়েছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ।
গত সাত দিনে ৯৭ হাজার ১১১টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩ হাজার রোগী শনাক্ত হয়, মারা যান ৭৯ জন। তার আগের সপ্তাহে ৯৮ হাজার ১০৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩ হাজার ৪৪৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। মারা গিয়েছিল ১০৮ জন।