ঢাকা ০৮:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আগামী সপ্তাহেই দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে একটি শৈত্যপ্রবাহ যুক্তরাজ্যের ইকোনোমিক সেক্রেটারির পদ থেকে টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেছেন জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠকে বসবে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতি কেজি এলপি গ্যাসের দাম ৩৭ পয়সা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে জাতীয় নির্বাচনের আহ্বান বিএনপির ফরিদপুরের সমাজসেবী আশরাফুল ইসলাম বুলুর ইন্তেকাল আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন অব্যাহত রেখেছেন পুলিশের ৪০তম অব্যাহতি পাওয়া এসআইরা আগামী সপ্তাহে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এলপি গ্যাসের উৎপাদন পর্যায়ে সাড়ে ৭ শতাংশ অতিরিক্ত ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে সরকার

করোনাভাইরাসে দেশে এক দিনে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, মোট মৃত্যু ৮২৬৬

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ১১:৩৯:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ২৯৮ Time View

শনিবার বিকালে সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরে।

গত একদিনে আরও ২৯১ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৪০ হাজার ২৬৬ জন হয়েছে।

এক দিনে ১৩ জনের মৃত্যুতে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ২৬৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৩৭৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৭৬৭ জন হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন মোট ১৪ লাখ ৯২ হাজার ৩৪৫ জন। তাদের মধ্য টিকা নিয়েছেন ৫ লাখ ৪২ হাজার ৩০৯ জন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ; এর মধ্যে গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বাধিক শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছিল, ১৭ এপ্রিল ২৬৬ জন রোগী শনাক্তের খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

পরদিন ১৮ এপ্রিল সংখ্যাটি ৩০০ ছাড়িয়ে যায়, এরপর গত ৬ ফেব্রুয়ারি অবধি এক দিনের জন্য দিনে শনাক্ত রোগী ৩০০ এর নিচে নামেনি।

গত কিছু দিন ধরে সংক্রমণে ধীর গতির মধ্যে ৭ ফেব্রুয়ারি শনাক্ত রোগী ২৯২ তে নেমে এসেছিল। এরপর সপ্তাহজুড়ে রোগীর সংখ্যা বাড়লেও তা ৫০০ এর নিচেই ছিল। ১৩ ফেব্রুয়ারি ফের ৩০০ এর নিচে নামল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত এক সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার হার দেড় শতাংশ বাড়লেও রোগী শনাক্তের হার প্রায় ১৮ শতাংশ কমেছে। মৃত্যুর হারও ৩ শতাংশ কমেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ২৬ শতাংশ। মৃত্যুর হার দাঁড়িয়ে ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

দেশে প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৩ জানুয়ারি তা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়।

এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩২তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।

শনিবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৩ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ৭ জন, নারী ৬ জন।

মৃতদের মধ্যে ৬ জনের বয়স ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে। এছাড়া ৪ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে। বাকি ২ জনের ১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ এবং ১ জনের ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্য।

গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৭ জন। বাকিদের মধ্যে ২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন রাজশাহী বিভাগের, ১ জন সিলেট বিভাগের এবং ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের।

Tag :
জনপ্রিয়

আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা

করোনাভাইরাসে দেশে এক দিনে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, মোট মৃত্যু ৮২৬৬

Update Time : ১১:৩৯:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

শনিবার বিকালে সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরে।

গত একদিনে আরও ২৯১ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৪০ হাজার ২৬৬ জন হয়েছে।

এক দিনে ১৩ জনের মৃত্যুতে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ২৬৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৩৭৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৭৬৭ জন হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন মোট ১৪ লাখ ৯২ হাজার ৩৪৫ জন। তাদের মধ্য টিকা নিয়েছেন ৫ লাখ ৪২ হাজার ৩০৯ জন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ; এর মধ্যে গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বাধিক শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছিল, ১৭ এপ্রিল ২৬৬ জন রোগী শনাক্তের খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

পরদিন ১৮ এপ্রিল সংখ্যাটি ৩০০ ছাড়িয়ে যায়, এরপর গত ৬ ফেব্রুয়ারি অবধি এক দিনের জন্য দিনে শনাক্ত রোগী ৩০০ এর নিচে নামেনি।

গত কিছু দিন ধরে সংক্রমণে ধীর গতির মধ্যে ৭ ফেব্রুয়ারি শনাক্ত রোগী ২৯২ তে নেমে এসেছিল। এরপর সপ্তাহজুড়ে রোগীর সংখ্যা বাড়লেও তা ৫০০ এর নিচেই ছিল। ১৩ ফেব্রুয়ারি ফের ৩০০ এর নিচে নামল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত এক সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার হার দেড় শতাংশ বাড়লেও রোগী শনাক্তের হার প্রায় ১৮ শতাংশ কমেছে। মৃত্যুর হারও ৩ শতাংশ কমেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ২৬ শতাংশ। মৃত্যুর হার দাঁড়িয়ে ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

দেশে প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৩ জানুয়ারি তা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়।

এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩২তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।

শনিবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৩ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ৭ জন, নারী ৬ জন।

মৃতদের মধ্যে ৬ জনের বয়স ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে। এছাড়া ৪ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে। বাকি ২ জনের ১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ এবং ১ জনের ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্য।

গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৭ জন। বাকিদের মধ্যে ২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন রাজশাহী বিভাগের, ১ জন সিলেট বিভাগের এবং ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের।