ঢাকা ১২:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
শনিবার জুড়ে লেবানন থেকে উত্তর ইসরাইলে ১৩০টিরও বেশি রকেট ছোঁড়া হয়েছে আজকের নামাজের সময়সূচি ৩ নভেম্বর আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জন মারা গেছেন আগামীকাল রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সাত কলেজের অভ্যান্তরীণ একাডেমিক সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা পিছিয়ে যাচ্ছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা গণভবনকে জাদুঘরে রূপ দিতে ১৯ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার বাফুফের এমন দূরাবস্থা কেনো, এ নিয়ে অডিট হবে অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের মাধ্যমে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে সাগরে লঘুচাপ, ৩ দিন যেমন থাকবে আবহাওয়া

করোনাভাইরাসে দেশে এক দিনে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, মোট মৃত্যু ৮২৮৫

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ১১:২৭:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ২৯৯ Time View

সোমবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ৪৪৬ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৪১ হাজার ৩৮ জন হয়েছে।

আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ১১ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ২৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৬৪১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৭০ জন হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গতবছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গতবছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৩ জানুয়ারি তা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১০ কোটি ৮৮ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৪ লাখ।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৬টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৯টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৬৫টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ২১০টি ল্যাবে ১৪ হাজার ১৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৮ লাখ ৬২ হাজার ২৫৪টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ০১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ লাখ ৯৬ হাজার ১৫৯টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫টি।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ আর নারী ৪ জন। তাদের মধ্যে ১০ জন হাসপাতালে ও ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন।

তাদের মধ্যে ৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।

মৃতদের মধ্যে ৭ জন ঢাকা বিভাগের, ১ জন করে মোট ৪ জন চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেট বিভাগেরর বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ২৮৫ জনের মধ্যে ৬ হাজার ২৭১ জনই পুরুষ এবং ২ হাজার ১৪ জন নারী।

Tag :
জনপ্রিয়

শনিবার জুড়ে লেবানন থেকে উত্তর ইসরাইলে ১৩০টিরও বেশি রকেট ছোঁড়া হয়েছে

করোনাভাইরাসে দেশে এক দিনে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, মোট মৃত্যু ৮২৮৫

Update Time : ১১:২৭:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সোমবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ৪৪৬ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৪১ হাজার ৩৮ জন হয়েছে।

আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ১১ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ২৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৬৪১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৭০ জন হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গতবছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গতবছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৩ জানুয়ারি তা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১০ কোটি ৮৮ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৪ লাখ।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৬টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৯টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৬৫টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ২১০টি ল্যাবে ১৪ হাজার ১৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৮ লাখ ৬২ হাজার ২৫৪টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ০১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ লাখ ৯৬ হাজার ১৫৯টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫টি।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ আর নারী ৪ জন। তাদের মধ্যে ১০ জন হাসপাতালে ও ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন।

তাদের মধ্যে ৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।

মৃতদের মধ্যে ৭ জন ঢাকা বিভাগের, ১ জন করে মোট ৪ জন চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেট বিভাগেরর বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ২৮৫ জনের মধ্যে ৬ হাজার ২৭১ জনই পুরুষ এবং ২ হাজার ১৪ জন নারী।