ঢাকা ০৬:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
বাংলাদেশ-ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আর্থিক সহায়তা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র কারো রক্তচক্ষু বা ধমকের কারণে কোনো কাজ করার প্রয়োজন নেই: ডিসিদের প্রধান উপদেষ্টা আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি দূরভিসন্ধিমূলক: রিজভী বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত দুপুর ১২টায় ডিসি সম্মেলন শুরু আজ, উঠছে ৩৫৪ প্রস্তাব এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ আজকের নামাজের সময়সূচি ১৬ ফেব্রুয়ারি আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা যতদ্রুত সম্ভব আমরা সংস্কার কমিশনগুলোর রিপোর্ট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসতে চাই: ড. আলী রিয়াজ পরিষ্কারভাবে বলেছি জাতীয় নির্বাচন আগে, তারপর স্থানীয়: ফখরুল

করোনাভাইরাস: তিন মাসের সর্বোচ্চ, আজ এক দিনে ৪০ মৃত্যু

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ১১:১৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০
  • ২৪০ Time View

সর্বশেষ গত ১৫ সেপ্টেম্বর এর চেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; সেদিন ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর মাঝে ২১ সেপ্টেম্বরও ৪০ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল।

মঙ্গলবার বিকালে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আর ১ হাজার ৮৭৭ জনের শরীরে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৯৪ হাজার ২০৯ জন হয়েছে।

আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ৪০ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ১২৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ৮৮৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৭২৯ জন হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা সাড়ে ৪ লাখ পেরিয়ে যায় ২৪ নভেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১২ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৬তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৩তম অবস্থানে।

বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৭ কোটি ২৯ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৬ লাখ ২২ হাজার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১২টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ১৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ১০টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৪০টি ল্যাবে ১৯ হাজার ৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩০ লাখ ৫ হাজার ৫১২টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৩ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬৫টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৬ লাখ ৬ হাজার ১৪৭টি।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ আর নারী ১৪ জন। তাদের মধ্যে ৩৯ হাসপাতালে ও ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন।

তাদের মধ্যে ২৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।

মৃতদের মধ্যে ২৪ জন ঢাকা বিভাগের, ১০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন করে মোট ২ জন খুলনা ও সিলেট বিভাগের এবং ২ জন করে মোট ৪ জন রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ১২৯ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৪৩৯ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৬৯০ জন নারী।

Tag :

বাংলাদেশ-ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আর্থিক সহায়তা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র

করোনাভাইরাস: তিন মাসের সর্বোচ্চ, আজ এক দিনে ৪০ মৃত্যু

Update Time : ১১:১৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০

সর্বশেষ গত ১৫ সেপ্টেম্বর এর চেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; সেদিন ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর মাঝে ২১ সেপ্টেম্বরও ৪০ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল।

মঙ্গলবার বিকালে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আর ১ হাজার ৮৭৭ জনের শরীরে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৯৪ হাজার ২০৯ জন হয়েছে।

আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ৪০ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ১২৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ৮৮৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৭২৯ জন হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা সাড়ে ৪ লাখ পেরিয়ে যায় ২৪ নভেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১২ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৬তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৩তম অবস্থানে।

বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৭ কোটি ২৯ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৬ লাখ ২২ হাজার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১২টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ১৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ১০টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৪০টি ল্যাবে ১৯ হাজার ৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩০ লাখ ৫ হাজার ৫১২টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৩ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬৫টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৬ লাখ ৬ হাজার ১৪৭টি।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ আর নারী ১৪ জন। তাদের মধ্যে ৩৯ হাসপাতালে ও ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন।

তাদের মধ্যে ২৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।

মৃতদের মধ্যে ২৪ জন ঢাকা বিভাগের, ১০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন করে মোট ২ জন খুলনা ও সিলেট বিভাগের এবং ২ জন করে মোট ৪ জন রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ১২৯ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৪৩৯ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৬৯০ জন নারী।