ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ভারতীয় সীমান্তে বিজিবির উচ্চ সর্তকতা জারি নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের নতুন একটি হাইকমিশন স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ বারবার ব্যাংক ঋণে সুদহার বৃদ্ধিতে চরম সংকটে পড়েছে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা নভেম্বরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১৩. ৮০ শতাংশ মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতমূলক পরিবেশের কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: পুতিন শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার না করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত আজ ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশি রোগী বয়কট না করার সিদ্ধান্ত ভারতের চিকিৎসকদের ক্ষমতায় আসার মাত্র তিন মাসের মধ্যেই ক্ষমতাচ্যুত হচ্ছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ে গাজা উপত্যকার ‘সেফ জোন’ লক্ষ্য করে আবারও বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, ‘পুড়ে ছাই’ নারী-শিশুসহ ২০ জন

করোনার চেয়ে দ্বিগুণের বেশি মৃত্যু আত্মহত্যায় ও হৃদরোগে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:০৭:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ৩০৪ Time View

দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি প্রাণ ঝরেছে আত্মহত্যা ও হৃদরোগে। করোনার সময়ে যেই ১০ মাসে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে পাঁচ হাজার ২০০ জন মারা গেছেন। সেই সময়ে আত্মহত্যা করেই মারা গেছেন প্রায় ১১ হাজার জন। আর হৃদরোগে মারা গেছেন এক লাখ ৮০ হাজার জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ভবনে ‘স্টেকহোল্ডার (মিডিয়া) কনসালটেশন ওয়ার্কশপ’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ তথ্য জানান পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব স্যার আমাদের পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমাদের পারসেপশন (ধারণা) এমন যে, করোনার সময় অন্যান্য অসুস্থতায় মানুষ কম মারা যাচ্ছে। করোনায় মানুষ মারা যাচ্ছে এবং অন্যান্য অসুখে কম যারা যাচ্ছে। কিন্তু এই সময় মানুষ ডাক্তারের কাছেও কম যাচ্ছে। করোনার সময় আমি প্রায় আড়াই মাস ফিল্ডে ছিলাম। ওখানে এই পারসেপশন সবার মধ্যেই ছিল। স্যার বলার পর আমাদের নতুন কোনো সার্ভে (জরিপ) করতে হয়নি। আমাদের চলমান যে সার্ভেগুলো আছে, সেগুলো থেকে তথ্য নিয়ে দেখলাম যে, আসলে আমাদের পারসেপশন সঠিক নয়।’

মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, এর আগের বছরের ১০ মাস এবং এই অর্থবছরের ১০ মাস নিয়ে এই স্টাডি করেছিলাম। স্টাডিতে দেখা গেছে, (১০ মাসে) করোনায় পাঁচ হাজার ২০০ জনের মতো লোক মারা গেছেন। কিন্তু করোনার এই সময়ে শুধু হার্ট-অ্যাটাকে এবং হার্ট ফেইলিওর বা হার্টের অসুখে প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার মানুষ মারা গেছেন। করোনায় যত মানুষ মারা গেছেন, তার চেয়ে আত্মহত্যায় বেশি মারা গেছেন। এই সময়ে আত্মহত্যায় মারা গেছেন প্রায় ১১ হাজার মানুষ। আমরা শুধু করোনার পেছনেই দৌঁড়েছি। কিন্তু আমাদের অন্যান্য বিষয়েও যে ইন্টারফেয়ার (নজর দেয়া) দরকার, করোনার জন্য হয়তো সেগুলোতে গুরুত্ব দিচ্ছি না। সেসব ক্ষেত্রে আমরা যদি গুরুত্ব না দিই, তাহলে কিন্তু আমাদের অন্যান্য রোগী বেড়ে যাবে। এই তথ্যগুলো জানানো আমাদের বিবিএসের দায়িত্ব।

এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) এক ভার্চুয়াল সভায় জানানো হয়, মার্চ ২০২০ থেকে নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন এক হাজার ৫৮ জন মানুষ। অন্যদিকে ২০১৯ সালের জুন থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২০ এই নয় মাসে এ সংখ্যা ছিল ৯৪০ জন। অর্থাৎ করোনার নয় মাসে আত্মহত্যার হার ১৩ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও তিনজন নারী। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট হাজার ৩২৯ জনে। এছাড়া এই সময়ে ৩৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ লাখ ৪২ হাজার ২৬৮ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৪টি ল্যাবরেটরিতে ১৪ হাজার ৭৪২টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৪ হাজার ৬০৩টি পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৩৯ লাখ ৮ হাজার ২৫৭টি। ২৪ ঘণ্টায় সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩৯১ জন।

Tag :
জনপ্রিয়

ভারতীয় সীমান্তে বিজিবির উচ্চ সর্তকতা জারি

করোনার চেয়ে দ্বিগুণের বেশি মৃত্যু আত্মহত্যায় ও হৃদরোগে

Update Time : ০৫:০৭:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি প্রাণ ঝরেছে আত্মহত্যা ও হৃদরোগে। করোনার সময়ে যেই ১০ মাসে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে পাঁচ হাজার ২০০ জন মারা গেছেন। সেই সময়ে আত্মহত্যা করেই মারা গেছেন প্রায় ১১ হাজার জন। আর হৃদরোগে মারা গেছেন এক লাখ ৮০ হাজার জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ভবনে ‘স্টেকহোল্ডার (মিডিয়া) কনসালটেশন ওয়ার্কশপ’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ তথ্য জানান পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব স্যার আমাদের পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমাদের পারসেপশন (ধারণা) এমন যে, করোনার সময় অন্যান্য অসুস্থতায় মানুষ কম মারা যাচ্ছে। করোনায় মানুষ মারা যাচ্ছে এবং অন্যান্য অসুখে কম যারা যাচ্ছে। কিন্তু এই সময় মানুষ ডাক্তারের কাছেও কম যাচ্ছে। করোনার সময় আমি প্রায় আড়াই মাস ফিল্ডে ছিলাম। ওখানে এই পারসেপশন সবার মধ্যেই ছিল। স্যার বলার পর আমাদের নতুন কোনো সার্ভে (জরিপ) করতে হয়নি। আমাদের চলমান যে সার্ভেগুলো আছে, সেগুলো থেকে তথ্য নিয়ে দেখলাম যে, আসলে আমাদের পারসেপশন সঠিক নয়।’

মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, এর আগের বছরের ১০ মাস এবং এই অর্থবছরের ১০ মাস নিয়ে এই স্টাডি করেছিলাম। স্টাডিতে দেখা গেছে, (১০ মাসে) করোনায় পাঁচ হাজার ২০০ জনের মতো লোক মারা গেছেন। কিন্তু করোনার এই সময়ে শুধু হার্ট-অ্যাটাকে এবং হার্ট ফেইলিওর বা হার্টের অসুখে প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার মানুষ মারা গেছেন। করোনায় যত মানুষ মারা গেছেন, তার চেয়ে আত্মহত্যায় বেশি মারা গেছেন। এই সময়ে আত্মহত্যায় মারা গেছেন প্রায় ১১ হাজার মানুষ। আমরা শুধু করোনার পেছনেই দৌঁড়েছি। কিন্তু আমাদের অন্যান্য বিষয়েও যে ইন্টারফেয়ার (নজর দেয়া) দরকার, করোনার জন্য হয়তো সেগুলোতে গুরুত্ব দিচ্ছি না। সেসব ক্ষেত্রে আমরা যদি গুরুত্ব না দিই, তাহলে কিন্তু আমাদের অন্যান্য রোগী বেড়ে যাবে। এই তথ্যগুলো জানানো আমাদের বিবিএসের দায়িত্ব।

এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) এক ভার্চুয়াল সভায় জানানো হয়, মার্চ ২০২০ থেকে নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন এক হাজার ৫৮ জন মানুষ। অন্যদিকে ২০১৯ সালের জুন থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২০ এই নয় মাসে এ সংখ্যা ছিল ৯৪০ জন। অর্থাৎ করোনার নয় মাসে আত্মহত্যার হার ১৩ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও তিনজন নারী। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট হাজার ৩২৯ জনে। এছাড়া এই সময়ে ৩৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ লাখ ৪২ হাজার ২৬৮ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৪টি ল্যাবরেটরিতে ১৪ হাজার ৭৪২টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৪ হাজার ৬০৩টি পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৩৯ লাখ ৮ হাজার ২৫৭টি। ২৪ ঘণ্টায় সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩৯১ জন।