ঢাকা ০৫:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ফরিদপুরে চলাচলের অযোগ্য সড়ক মেরামত করলো যুবদল কর্মীরা আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় কোনো জঙ্গি হামলার শঙ্কা নেই ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফায় ফের রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ, আহত ১০ বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে শিশুদের সুন্দর বিকাশের জন্য গুরুত্ব প্রদান করা আমাদের সবার দায়িত্ব রাস্তা ঘেষে বেকু দিয়ে মাটি কাটায় ধসে যাচ্ছে ফরিদপুর লেকপাড়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আজকের নামাজের সময়সূচি ৭ অক্টোবর আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা তিন পার্বত্য জেলায় কঠিন চীবর দান উদযাপন না করার সিদ্ধান্ত সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম কিছুটা কমেছে

করোনার প্রকপ বাড়তেই হঠাৎ অস্থিতিশীল মাস্কের বাজার

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:৩৯:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০
  • ২৪৯ Time View
সম্প্রতি শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। এতে মাস্কের চাহিদা যেমন বাড়ছে তেমনি করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচার অন্যতম হাতিয়ার মাস্কের দামও বাড়ছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, আগের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মাস্ক।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাস্ক পরার বিষয়ে সরকারের কড়াকড়ি আরোপের পর থেকেই এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী মাস্কের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে ক্রেতারা আগের চেয়ে বেশি দামে মাস্ক কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
পল্টনে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ভবনের সামনে পাইকারি ও খুচরা মাস্ক বিক্রেতারা স্বীকার করেন মাস্কের দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। তবে করোনা থেকে বাঁচার অন্যান্য সুরক্ষা সরঞ্জামের দাম আগের মতোই রয়েছে  ।
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি চাহিদা সার্জিক্যাল মাস্ক এবং এন-৯৫ মাস্কের। বিক্রেতারা জানান, আগে পঞ্চাশটির এক প্যাকেট সার্জিক্যাল মাস্ক ৭০ টাকা, এবং দশটির এন-৯৫ মাস্কের প্যাকেট ২২৫ টাকা পাইকারি মূল্য ছিল। বর্তমানে  দাম বেড়ে সার্জিক্যাল মাস্ক ১২৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকা এবং এন-৯৫ মাস্ক ২৫০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে তারা বেশি দামে বিক্রি করছেন।
এ বিষয়ে বিএমএ ভবনের সামনে মাস্কের পসরা সাজিয়ে বসা একজন বিক্রেতা বলেন, সরকার মাস্ক পরার বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। তাই এখন মাস্কের চাহিদা আগের চেয়ে বেড়েছে। আগে ঢাকায় মানুষ বেশি মাস্ক ব্যবহার করতো। বর্তমানে গ্রামে এবং মফস্বল এলাকাতেও মানুষ মাস্ক পরছে। তাই মাস্কের চাহিদা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। চাহিদা বাড়ার কারণে মাস্কের দামও বেড়েছে। বিএমএ ভবনের সামনে দাঁড়ানো মাস্ক বিক্রেতারাও এবং  স্বীকার করেন বর্তমানে মাস্কের দাম আগের তুলনায় বেশি।
পল্টনের তোপখানা রোডে মাস্ক কিনতে আসা ক্রেতা মনির হোসেন জানান, সার্জিক্যাল, এন-৯৫ এবং কাপড়ের মাস্কসহ প্রতিটা মাস্কের দাম আগের থেকে বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী যেদিন থেকে সবাইকে মাস্ক পরতে বলছেন, সেদিন থেকেই অসাধু ব্যবসায়ীরা মাস্কের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
দাম বেশি কেন জানত চাইলে দিশারী পরিবহনে ভ্রাম্যমাণ মাস্ক বিক্রেতা  বলেন, আগে তিনি সার্জিক্যাল মাস্ক পাঁচ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি করেছেন। এখন দুইটা ১০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এন-৯৫ মাস্ক ৩০ টাকায় বিক্রি করা হতো। এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি। কাপড়ের মাস্ক ৩০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, কেনা বেশি দামে, তাই একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কম দামে কিনতে পারলে আবারো কম দামে বিক্রি করা হবে।

Tag :
জনপ্রিয়

ফরিদপুরে চলাচলের অযোগ্য সড়ক মেরামত করলো যুবদল কর্মীরা

করোনার প্রকপ বাড়তেই হঠাৎ অস্থিতিশীল মাস্কের বাজার

Update Time : ০৭:৩৯:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০
সম্প্রতি শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। এতে মাস্কের চাহিদা যেমন বাড়ছে তেমনি করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচার অন্যতম হাতিয়ার মাস্কের দামও বাড়ছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, আগের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মাস্ক।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাস্ক পরার বিষয়ে সরকারের কড়াকড়ি আরোপের পর থেকেই এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী মাস্কের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে ক্রেতারা আগের চেয়ে বেশি দামে মাস্ক কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
পল্টনে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ভবনের সামনে পাইকারি ও খুচরা মাস্ক বিক্রেতারা স্বীকার করেন মাস্কের দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। তবে করোনা থেকে বাঁচার অন্যান্য সুরক্ষা সরঞ্জামের দাম আগের মতোই রয়েছে  ।
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি চাহিদা সার্জিক্যাল মাস্ক এবং এন-৯৫ মাস্কের। বিক্রেতারা জানান, আগে পঞ্চাশটির এক প্যাকেট সার্জিক্যাল মাস্ক ৭০ টাকা, এবং দশটির এন-৯৫ মাস্কের প্যাকেট ২২৫ টাকা পাইকারি মূল্য ছিল। বর্তমানে  দাম বেড়ে সার্জিক্যাল মাস্ক ১২৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকা এবং এন-৯৫ মাস্ক ২৫০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে তারা বেশি দামে বিক্রি করছেন।
এ বিষয়ে বিএমএ ভবনের সামনে মাস্কের পসরা সাজিয়ে বসা একজন বিক্রেতা বলেন, সরকার মাস্ক পরার বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। তাই এখন মাস্কের চাহিদা আগের চেয়ে বেড়েছে। আগে ঢাকায় মানুষ বেশি মাস্ক ব্যবহার করতো। বর্তমানে গ্রামে এবং মফস্বল এলাকাতেও মানুষ মাস্ক পরছে। তাই মাস্কের চাহিদা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। চাহিদা বাড়ার কারণে মাস্কের দামও বেড়েছে। বিএমএ ভবনের সামনে দাঁড়ানো মাস্ক বিক্রেতারাও এবং  স্বীকার করেন বর্তমানে মাস্কের দাম আগের তুলনায় বেশি।
পল্টনের তোপখানা রোডে মাস্ক কিনতে আসা ক্রেতা মনির হোসেন জানান, সার্জিক্যাল, এন-৯৫ এবং কাপড়ের মাস্কসহ প্রতিটা মাস্কের দাম আগের থেকে বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী যেদিন থেকে সবাইকে মাস্ক পরতে বলছেন, সেদিন থেকেই অসাধু ব্যবসায়ীরা মাস্কের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
দাম বেশি কেন জানত চাইলে দিশারী পরিবহনে ভ্রাম্যমাণ মাস্ক বিক্রেতা  বলেন, আগে তিনি সার্জিক্যাল মাস্ক পাঁচ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি করেছেন। এখন দুইটা ১০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এন-৯৫ মাস্ক ৩০ টাকায় বিক্রি করা হতো। এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি। কাপড়ের মাস্ক ৩০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, কেনা বেশি দামে, তাই একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কম দামে কিনতে পারলে আবারো কম দামে বিক্রি করা হবে।