করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির তৈরি এক ডোজের ভ্যাকসিন নিরাপদ ও কার্যকর বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। অন্য টিকার মতো জনসনের টিকায় দুটি ডোজ নেয়ার প্রয়োজন হয় না।
এই স্বীকৃতির পর কিছুদিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে জনসনের টিকার অনুমোদন পাওয়ার পথ প্রশস্ত হবে। ফলে এটি হবে যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদন পাওয়া করোনার তৃতীয় ভ্যাকসিন এবং ফাইজার ও মডার্নার টিকার অর্থ-সাশ্রয়ী বিকল্প। জনসন অ্যান্ড জনসন যুক্তরাষ্ট্রকে ১০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করতে রাজি হয়েছে।
জনসনের এই টিকা রেফ্রিজারেটরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যাবে। কোন ফ্রিজারের প্রয়োজন পড়বে না। মানব দেহের ওপর জনসনের এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষায় দেখা গেছে, এটি সার্বিকভাবে করোনার বিরুদ্ধে ৬৬ শতাংশ কার্যকর।
ইতোমধ্যে ব্রিটেন, ইইউ এবং ক্যানাডাও এই টিকা কেনার জন্য অর্ডার দিয়েছে। দরিদ্র দেশগুলোর সহায়তায় জনসন কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় ৫০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করবে।
এই টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কে এফডিএ বলছে, কোভিড-১৯ এর উপসর্গ-যুক্ত অসুস্থতা এবং গুরুতর অসুস্থতা- এই দুই ক্ষেত্রেই জনসনের টিকা কার্যকর।
দেখা গেছে, গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রে জনসনের টিকা ৮৫ শতাংশেরও বেশি কার্যকর। তবে সার্বিকভাবে মধ্যম মাত্রার অসুস্থতার বিরুদ্ধে এটি ৬৬ শতাংশ কার্যকর।
যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলে মানব দেহের ওপর জনসনের টিকার পরীক্ষায় দেখা গেছে, ভাইরাসের তীব্র সংক্রমণের বিরুদ্ধে এই ভ্যাকসিন ‘উচ্চমাত্রায় একই রকম’ কার্যকর। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে কোভিডের নতুন ধরনের বিরুদ্ধে এটি কম কার্যকর।
হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বলছেন, এফডিএ-র জরুরি অনুমোদন সাপেক্ষে আগামী সপ্তাহের মধ্যে জনসনের অন্তত তিন কোটি ডোজ টিকা বিতরণ করা যাবে বলে প্রশাসন আশা করছে।