করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন (প্রজাতি) নিয়ে আতঙ্কে কাঁপছে ইউরোপ।বিপদ থেকে বাঁচতে এবার বৃটেনকে ‘একঘরে’ করল ১০ দেশ। ইউরোপীয় দেশগুলো বৃটেনের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা শুরু করেছে। এরই মধ্যে বৃটেনের সঙ্গে আয়ারল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়াম বিভিন্ন মেয়াদে ফ্লাইট বাতিল করেছে।এছাড়া অস্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া, সুইজারল্যান্ড ও তুরস্ক ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
বিবিসি বরাতে জানা যায় স্থানীয় সময় সোমবার সকালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সভা রয়েছে। এতে এ বিষয়ে সম্মিলিত পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনা ভাইরাস লন্ডন এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন বৃটিশ স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এ নিয়ে মারাত্মক উদ্বেগের পটভূমিতে শনিবার হঠাৎ করেই লন্ডন এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের বিরাট অংশ জুড়ে কঠোর লকডাউন জারি করা হয়েছে।
এ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই নেদারল্যান্ডস ১ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃটেনেরর সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। নদীপথের যাত্রীদেরও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে পণ্যবাহী পরিবহণ বা বিমান চলাচল করতে পারবে।
ফ্রান্স অবশ্য ৪৮ ঘণ্টার জন্য স্থল ও আকাশ পথের সব ধরনের পরিবহন বন্ধ ঘোষণা করেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার লরি চলাচল করে দেশ দুটির মধ্যে।
আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃটেনেরর সঙ্গে সব ধরনের ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করেছে ইতালি। দেশটিতে বৃটেনের শনাক্ত হওয়া নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে।
আয়ারল্যান্ডে বছরের এই সময়টাতে বৃটেনেরর সঙ্গে উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করে। তবে আয়ারল্যান্ড সরকার ঘোষণা করেছে, ইংল্যান্ড, ওয়ালেস এবং স্কটল্যান্ড থেকে আসা ফ্লাইটগুলোকে মধ্যরাত থেকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য নিষিদ্ধ করা হবে।
তারা বলেছে, ‘জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে, বৃটেনের জনগণ আকাশ বা সমুদ্রপথে আয়ারল্যান্ডে ভ্রমণ করা উচিত নয়’।
যুক্তরাজ্য থেকে বিভিন্ন ফ্লাইট নিষিদ্ধ করার কথা জানিয়েছে অস্ট্রিয়া। বুলগেরিয়া মধ্যরাত থেকে বৃটেনেরর সঙ্গে যাওয়া ও আসার সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে। তবে অন্যান্য দেশের স্বল্পমেয়াদী ব্যবস্থার বিপরীতে, তাদের নিষেধাজ্ঞানটি ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থায়ী করা হয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের মতো তুরস্কও সাময়িকভাবে বৃটেনেরর সঙ্গে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করেছে।
সম্প্রতি বৃটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ ইংল্যান্ডের কয়েকটি জায়গায় করোনাভাইরাসের একটি নতুন স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে। নতুন এই স্ট্রেনটি আগের থেকেও বেশি গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই মুহূর্তে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে বৃটিশ প্রশাসন। দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ড এবং লন্ডনে নতুন করে লকডাউনের ঘোষণাও করা হয়েছে। আগাম সতর্কতা হিসাবে এবার পদক্ষেপ করল তার প্রতিবেশী দেশগুলোও।
সূত্র- বিবিসি