কোভিড-১৯ মহামারীতে বিপর্যস্ত বিশ্ব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউ দেখা দিয়েছে। আবার কোথাও নতুন ধরন দেখা দিয়েছে। নতুন এই ধরন নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
এমতাবস্থায় করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর নতুন মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা ২৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এই তথ্য ওয়ার্ল্ডওমিটারসের।
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান রাখা আন্তর্জাতিক এই ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, রোববার দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ কোটি ৬৩ লাখ ৫৩ হাজার ২৩০ জন। আর মারা গেছেন ২৩ লাখ ২০ হাজার ৬৮৯ জন। আর আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন সাত কোটি ৭৯ লাখ ৯৬ হাজার ৬৪১ জন।
এদিকে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিএসএসই) তথ্যানুযায়ী, রোববার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৫৭ লাখ ৪৫ হাজার ৯১৫ জনে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৩ লাখ ৯ হাজার। আর এ পর্যন্ত সেরে উঠেছেন পাঁচ কোটি ৮৮ লাখ ৫১ হাজার ৪৪১ জন।
বিশ্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। রোববার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ৬৯ লাখ ১৪ হাজার ৯২৫ জন। আর এই মহামারিতে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৬২ হাজার ১৩৮ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃত্যু বিবেচনায় করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিল। আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকলেও মৃত্যু বিবেচনায় দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৯৪ লাখ ৪৭ হাজার ১৬৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ৩০ হাজার ৩৪ জনের।
মৃত্যু বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী মেক্সিকো তৃতীয় স্থানে আছে। আক্রান্ত বিবেচনায় দেশটির অবস্থান ১৩ নম্বরে। মেক্সিকোতে রোববার সকাল পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ২৬ হাজার ৮০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৬ জনের।
আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারত মৃত্যু বিবেচনায় আছে চতুর্থ স্থানে। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি আট লাখ ১৪ হাজার ৩০৪ জন। আর মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৫৪ হাজার ৯১৮ জনের।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর পর থেকে এটি বিশ্বের ২১৩ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী বিস্তারের প্রেক্ষাপটে গত বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।