ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কর্মস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন পুলিশের অনেক সদস্য। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর দফায় দফায় তাদের কাজে ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। এরপরেও ১৩৬ জন কনস্টেবলসহ ১৮৭ পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে যোগ দেননি। তাদের বেতন-ভাতাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য আইনি ব্যবস্থা নিতে থানায় মামলাও করা হচ্ছে পলাতকদের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর বলেন, যেসব পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য কর্মস্থলে অনুপস্থিত তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
পলাতক থাকা সদস্যদের গ্রেফতারে আলাদা টিম গঠন করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। তারা যেন বিদেশে পালাতে না পারেন সে জন্য তাদের সব ধরনের পাসপোর্ট বাতিল করা হচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়, পলাতক ১৮৭ সদস্যের মধ্যে রয়েছেন- ডিআইজি একজন, অতিরিক্ত ডিআইজি সাতজন, পুলিশ সুপার দুইজন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একজন, সহকারী পুলিশ সুপার পাঁচজন, পুলিশ পরিদর্শক পাঁচজন, এসআই ও সার্জেন্ট ১৪ জন, এএসআই ৯ জন, নায়েক সাতজন এবং কনস্টেবল ১৩৬ জন।
এর আগে কাজে যোগদানের জন্য পুলিশ সদস্যদের জন্য সময় বেধে দেওয়া হয়। কিন্তু এসব সদস্যরা সরকারের ডাকে সাড়া দেননি।