এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে নিয়মিত স্লিপের (বার্ষিক উন্নয়ন বরাদ্দ) অর্থের পরিমাণ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এজন্য বিভিন্ন সংস্থা এগিয়ে আসতে চাচ্ছে। আমরা আলাপ আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্লাসে পাঠাতে অভিভাবকদের সচেতন করতে নানা ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
কিন্ডারগার্টেন স্কুল খোলার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালিক চাইলে যেকোনো সময় স্কুল খুলতে পারেন। এ বিষয়ে আমাদের কোনো বাধা-নিষেধ নেই। তারা আমাদের নিবন্ধন নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে না, তাদের বিষয়ে আমাদের কোনো দায়-দায়িত্ব নেই। তবে নিবন্ধিতরা তাদের প্রতিষ্ঠান খুলতে চাইলে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে কিন্ডারগার্টেন স্কুল খুলে দিতে পারবে বলে জানান তিনি।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় আনা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, বিদ্যালয় খোলার আগে বা পরে শিক্ষকদের টিকা দেওয়া কার্যক্রম শুরু করা হবে। এজন্য প্রাথমিকের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তালিকা তৈরি করে আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। ধাপে ধাপে সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে। তবে শিক্ষার্থীদের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় তাদেরকে এই টিকার আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।