ক্রেন দিয়ে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাত সোয়া ১১টায় গেট দিয়ে বাড়িটি ভাঙতে ভাঙতে ভেতরে প্রবেশ করে ক্রেনটি। রাত সাড়ে ১০টায় সেটি সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময়ে উৎস্যুক জনতা ক্রেনের ওপর ওঠে উল্লাশ প্রকাশ করে। ‘শেখ মুজিবের বাড়ি ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ওই এলাকা।
অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া শিক্ষার্থী ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা ঘোষণা দেন, যেসময় শেখ হাসিনা বক্তব্য দেয়া শুরু করবেন, তখনই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভবনে ভাঙচুর চালানো হবে। তবে এর আগেই সেখানে ঢুকে ভাঙচুর শুরু হয়।
রাত ৮টার আগেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ধানমন্ডিতে গিয়ে ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে প্রথমে ফটক ভেঙে ফেলে। পরে বাড়ির ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করে। রাত পৌনে ৯টায় ভবনের তৃতীয় তলার একটি জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে দেয়। রাত সোয়া ৯টার দিকে লাঠিসোঁটা দিয়ে বাড়িটির দেয়াল ভাঙতে শুরু করে।
সন্ধ্যা ৭টার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।
এই বাসভবন থেকে মুক্তিযুদ্ধের আগের দিনগুলোতে দিকনির্দেশনা দিতেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু, তার স্ত্রী–পুত্র, পুত্রবধূসহ আত্মীয়দের হত্যা করা হয়েছিল এখানে। এই বাড়িটিকে স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছিল বিক্ষুব্ধ জনতা। এরপর থেকে বাড়িটি অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।