ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সোমবার (৭ এপিল) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউজে বৈঠক করেন যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত এই নেতা।
সেখানে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, গাজা এখন একটি যুদ্ধক্ষেত্র। সেখানে তারা গাজাবাসীকে আটকে রাখেননি। তারা চাইলে অন্য দেশে চলে যেতে পারবে। কিন্তু হামাস তাদের যেতে দিচ্ছে না।
এরপর নেতানিয়াহু সাংবাদিকদের বলেন, গাজাকে পুনর্গঠনের সময় ট্রাম্প গাজাবাসীকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার যে প্রস্তাব দিয়েছেন সেটিতে তারা সমর্থন জানান। এরপর হামাসের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়ে তিনি বলেন, ‘গাজাবাসীকে গাজায় আটকে রাখা হয়েছে। এটি যুদ্ধক্ষেত্র হওয়া সত্ত্বেও তাদের কোথাও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা তো তাদের অবরুদ্ধ করিনি।’
এ সময় ইউক্রেন ও সিরিয়ার যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই দুই দেশে যুদ্ধের সময়ে বেসামরিক মানুষকে অন্যত্র সরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
এ সময় নেতানিয়াহু নাম উল্লেখ না করে দাবি করেন, গাজাবাসীকে নেওয়ার জন্য কিছু দেশের সঙ্গে তাদের ইতিবাচক কথা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, তিনি মিথ্যা বলছেন। কারণ এর আগে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা আফ্রিকার তিনটি দেশের নাম উল্লেখ করে বলেন, তাদের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে সেসব দেশ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং ইসরায়েলের মিথ্যাচার প্রকাশ করে।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘গাজার মানুষ নিজের ইচ্ছায় যেখানে যেতে চায় সেখানে যেন যেতে পারে সেটি নিশ্চিত করবে ইসরায়েল।’ সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল