চট্টগ্রামে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে নয়জন দগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার মধ্যরাতে নগরের আকবরশাহ থানার উত্তর কাট্টলিতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশন অফিসার কফিল উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘গ্যাস সিলিন্ডার নয়, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা এই আলামত পেয়েছি। ওই ফ্ল্যাটের অনেকগুলো পয়েন্টে একসঙ্গে স্পার্কের ঘটনা ঘটেছে।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার জানান ‘দুর্ঘটনায় মোট নয়জন দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। বাকিদের অবস্থা ততটা খারাপ নয়।’
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আর এক নারীর মৃত্যু হয়।
মারা যাওয়া নারীর নাম পেয়ারা বেগম। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।
একই ঘটনায় দগ্ধ আরও আটজন চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
তাঁরা হলেন মিজানুর রহমান (৪২), সাইফুর রহমান (১৯), বিবি সুলতানা (৩৬), মানহা (২), মাহের (৭), রিয়াজ (২২), জাহান (২১) ও সুমাইয়া (১৮)।
বার্ন ইউনিট সূত্র জানায়, দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে মিজানুরের শরীরের ৪৮ শতাংশ, সাইফুরের ২২, সুলতানার ২০, মানহার ২০, রিয়াজের ১৮ শতাংশ, সুমাইয়ার ১৫, জাহানের ১২ ও মাহেরের ৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে উত্তর কাট্টলীর মুরাদ চৌধুরী বাড়ির মরিয়ম ভবনের ছয়তলার ফ্ল্যাটে আগুনের ঘটনা ঘটে। আগুনে একই পরিবারের সাতজনসহ মোট নয়জন দগ্ধ হন।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই দগ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।