ঢাকা ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
পুলিশকে প্রাণঘাতী অস্ত্র না দেওয়া, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কার কমিশন যেকোনো নাগরিক দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না: নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ব্যাংকগুলো নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে ধার করছে বৃহস্পতিবার মুক্তি পাচ্ছেন লুৎফুজ্জামান বাবর ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ পরিবর্তনের সুপারিশ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো আপস করার সুযোগ নেই ফরিদপুরের কৃতি সন্তান সাবেক আইজিপি এম আজিজুল হকের ইন্তেকাল সবজি ছাড়া নিত্যব্যবহার্য প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে, মূল্যস্ফীতি চরম পর্যায়ে সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে যাচ্ছে আজ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া-তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস

চতুর্থ দফায় ভাসানচরে যাচ্ছেন হাজারো রোহিঙ্গা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:৪০:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ২৯২ Time View
চতুর্থ দফায় নোয়াখালীর ভাসানচরে যাচ্ছেন হাজারো রোহিঙ্গা। এই স্থানান্তর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে করে ২ হাজার ১০ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাচ্ছেন। চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজে এই রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যাচ্ছেন। ভাসানচরে যাওয়ার জন্য রোহিঙ্গারা ইতিমধ্যে নৌবাহিনীর জাহাজে উঠেছেন।
নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে গতকাল রোববারই কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছান এই রোহিঙ্গারা।
গতকাল দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে প্রথম দফায় ২২টি গাড়িতে ১ হাজার ১৫২ জনকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
গতকাল বেলা সোয়া তিনটায় দ্বিতীয় দফায় ১৭টি গাড়িতে চট্টগ্রাম পাঠানো হয় আরও ৮৬২ জনকে। আজ আরও দেড় হাজার জনকে চট্টগ্রামে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
চতুর্থ দফায় কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের আশ্রয়শিবির থেকে ৩ হাজার ৬০০ জনের ভাসানচর যাওয়ার কথা আছে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয় সূত্র জানায়, এর আগে তিন দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ৬ হাজার ৬৮৮ জনকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় স্থানান্তর করা হয় ১ হাজার ৬৪২ জনকে। ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জনকে স্থানান্তর করা হয়। আর চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফার স্থানান্তর করা হয় ৩ হাজার ২৪২ জনকে।
ভাসানচরের আশ্রয়শিবিরে মোট এক লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে সরকারের।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। এর আগে আসেন আরও কয়েক লাখ।
বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।
Tag :

পুলিশকে প্রাণঘাতী অস্ত্র না দেওয়া, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কার কমিশন

চতুর্থ দফায় ভাসানচরে যাচ্ছেন হাজারো রোহিঙ্গা

Update Time : ০৫:৪০:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
চতুর্থ দফায় নোয়াখালীর ভাসানচরে যাচ্ছেন হাজারো রোহিঙ্গা। এই স্থানান্তর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে করে ২ হাজার ১০ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাচ্ছেন। চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজে এই রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যাচ্ছেন। ভাসানচরে যাওয়ার জন্য রোহিঙ্গারা ইতিমধ্যে নৌবাহিনীর জাহাজে উঠেছেন।
নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে গতকাল রোববারই কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছান এই রোহিঙ্গারা।
গতকাল দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে প্রথম দফায় ২২টি গাড়িতে ১ হাজার ১৫২ জনকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
গতকাল বেলা সোয়া তিনটায় দ্বিতীয় দফায় ১৭টি গাড়িতে চট্টগ্রাম পাঠানো হয় আরও ৮৬২ জনকে। আজ আরও দেড় হাজার জনকে চট্টগ্রামে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
চতুর্থ দফায় কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের আশ্রয়শিবির থেকে ৩ হাজার ৬০০ জনের ভাসানচর যাওয়ার কথা আছে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয় সূত্র জানায়, এর আগে তিন দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ৬ হাজার ৬৮৮ জনকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় স্থানান্তর করা হয় ১ হাজার ৬৪২ জনকে। ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জনকে স্থানান্তর করা হয়। আর চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফার স্থানান্তর করা হয় ৩ হাজার ২৪২ জনকে।
ভাসানচরের আশ্রয়শিবিরে মোট এক লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে সরকারের।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। এর আগে আসেন আরও কয়েক লাখ।
বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।