আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় পৌরসভা নির্বাচনে এসব প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বুধবার দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচন বোর্ডের দীর্ঘ বৈঠকে দলীয় প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, ড. আবদুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বুধবার রাতে বলেন, আগে যারা বিদ্রোহী ছিলেন এবারও আমরা তাদের মনোনয়ন দেইনি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই, দলের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক এবং বিশেষ করে করোনাকালে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদের দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজন নারীকে এবার দলীয় প্রার্থী করা হয়েছে। অভিযোগের কারণে আগের বেশ কয়েকজন মেয়রকে এবার আর মনোনয়ন দেয়া হয়নি।
যারা মনোননয়ন পেলেন: ঠাকুরগাঁও জেলার ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় আঞ্জুমান আরা বেগম ও রাণীশংকৈলে মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট পৌরসভায় মোফাজ্জল হোসেন ও পাটগ্রামে রাশেদুল ইসলাম সুইট, জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে শহীদুল আলম চৌধুরী, কালাইয়ে রাবেয়া সুলতানা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সৈয়দ মনিরুল ইসলাম, রাজশাহীর নওহাটায় হাফিজুর রহমান হাফিজ, গোদাগাড়ীতে অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস, তানোরে ইমরুল হক ও তাহেরপুরে আবুল কালাম আজাদ, নাটোরের বড়াইগ্রামে মাজেদুল বারী নয়ন ও নাটোর পৌরসভায় উমা চৌধুরী, চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে রফিকুল ইসলাম ও আলমডাঙ্গায় হাসান কাদির গনু, যশোরের চৌগাছায় নূর উদ্দীন আল-মামুন ও বাঘারপাড়ায় কামরুজ্জামান, বাগেরহাট জেলার বাগেরহাট পৌরসভায় খাঁন হাবিবুর রহমান, সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা পৌরসভায় শেখ নাসেরুল হক, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, বরিশালের মুলাদীতে শফিকউজ্জামান ও বানারীপাড়ায় সুভাস চন্দ্র শীল, টাঙ্গাইলের গোপালপুরে রকিবুল হক ছানা ও কালিহাতীতে মোহাম্মদ নুরন্নবী, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে আনোয়ার হোসেন, হোসেনপুরে আ. কাইয়ুম (খোকন) ও করিমগঞ্জে মুসলেহ উদ্দিন, মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিমে আবদুস ছালাম।
নরসিংদী জেলার নরসিংদী পৌরসভায় আশরাফ হোসেন সরকার ও মাধবদীতে মোশাররফ হোসেন, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নজরুল ইসলাম ও রাজবাড়ী পৌরসভায় মহম্মদ আলী চৌধুরী, ফরিদপুরের নগরকান্দায় নিমাই চন্দ্র সরকার, মাদারীপুরের কালকিনিতে এসএম হানিফ, শরীয়তপুরের ডামুড্যায় কামাল উদ্দিন আহমদ, জামালপুরের মেলান্দহে শফিক জাহেদী রবিন, শেরপুর জেলার শেরপুর পৌরসভায় গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া ও শ্রীবরদীতে মোহাম্মদ আলী লাল মিয়া।
ময়মনসিংহের ফুলপুরে শশধর সেন, নেত্রকোনা জেলার নেত্রকোনা পৌরসভায় নজরুল ইসলাম খান, সিলেটের কানাইঘাটে লুৎফুর রহমান, হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে মোহাম্মদ সাইফুল আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় তাকজিল খলিফা, কুমিল্লার হোমনায় নজরুল ইসলাম ও দাউদকান্দিতে নাইম ইউসুফ, চাঁদপুরের কচুয়ায় নাজমুল আলম ও ফরিদগঞ্জে আবুল খায়ের পাটওয়ারী, ফেনীর পরশুরামে নিজাম উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, নোয়াখালীর চাটখিলে নিজাম উদ্দিন, সোনাইমুড়িতে নুরুল হক চৌধুরী, লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে এম মেজবাহ উদ্দিন, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মোহাম্মদ জোবায়ের, পটিয়ায় আইয়ুব বাবুল, চন্দনাইশে মাহবুবুল আলম, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় শামছুল হক, রাঙ্গামাটি জেলার রাঙ্গামাটি পৌরসভায় আকবর হোসেন চৌধুরী এবং বান্দরবান জেলার বান্দরবান পৌরসভায় মোহাম্মদ ইসলাম বেবী।