ঢাকা ১১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
শেখ হাসিনাকে সদলবলে দিল্লির অন্যতম অভিজাত পার্ক লোদি গার্ডেনে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে নিউইয়র্কে হচ্ছে না ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক সালমান-আনিসুল হকের আবার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত আজকের নামাজের সময়সূচি ১৯ সেপ্টেম্বর আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা চাকরিতে বয়স বাড়ানোর দাবির চিঠিটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সাবেক তিন সিইসি’র বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে মামলা ছয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে ইলন মাস্ক শিগগিরই বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার বা লাখ কোটিপতি হতে পারেন ভায়াডাক্ট দেবে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে মেট্রোরেল চলাচল

চলতি অর্থবছরের পরিচালন বাজেটও কাটছাঁট করবে অন্তর্বর্তী সরকার

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:২৯:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৪ Time View

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে চলতি অর্থবছরের পরিচালন বাজেটও কাটছাঁট করবে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রাক্কলিত ব্যয় ১ লাখ কোটি টাকার মতো কমতে পারে। যা চূড়ান্ত হতে পারে এ মাসের মধ্যেই। আর কাঁটছাঁটের প্রায় পুরোটাই চলে যেতে পারে উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপি থেকে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বর্তমান বাস্তবতায় এই সিদ্ধান্ত যৌক্তিক। তবে চালু রাখতে হবে প্রবৃদ্ধিবান্ধব প্রকল্পগুলো।

সঙ্কট মাথায় রেখেই এবার তুলনামূলক ছোট বাজেট দিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। আগের ধারাবাহিকতা থেকে সরে আকারও বাড়ানো হয় সামান্য। কিন্তু তারপরও নতুনত্ব ছিল না বরাদ্দ বিভাজনে। তাই বছরজুড়ে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা খরচের লক্ষ্য ধরা হলেও তা থেকে প্রায় ৫ লাখ ৭ হাজার কোটিই রাখা হয় বেতন-ভাতা, সুদসহ অনুন্নয় খাতে।

অন্যদিকে এডিপির আকার ধরা হয় ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। যার প্রায় পুরোটাই হয়ে পড়ে দেশি-বিদেশি ঋণনির্ভর। এমন অবস্থায় উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন থেকে সব মিলিয়ে ১ লাখ কোটি টাকা কমিয়ে বাস্তবায়নযোগ্য এক অবস্থানে যেতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উচ্চাভিলাষী কিছু কিছু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় পরে এটাকে রিভাইস করা হয়। রাজস্ব আদায়, অভ্যন্তরীণ সঞ্চয় সেটাও করতে পারেনি আর ঋণের লক্ষ্যমাত্রাও অনেক সময় বিচ্যুতি হয়েছে। বিচ্যুতি না হলেও একই রকম থেকেছে কারণ আমরা আয়ও করতে পারিনি আবার ব্যয়ও করতে পারিনি।

নানা কারণে, গেলো কয়েক বছর ধরেই এডিপি বাস্তবায়ন হতাশার। বিশেষ করে, সবশেষ অর্থবছরে এই হার নেমে যায় ৮০ শতাংশের ঘরে। যা ২০১৯-২০ থেকে পরের ৫ অর্থবছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। টাকার অঙ্কেও যা ছিল মাত্র ২ লাখ ৫ হাজার কোটি। তাই এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটির নতুন বরাদ্দ নিয়ে। ফলে অতি প্রয়োজনীয় ব্যয় ঠিক রেখে, কম গুরুত্বপূর্ণ এবং রাজনৈতিক প্রকল্প বাদ দেয়ার ইঙ্গিত রয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের।

Tag :
জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাকে সদলবলে দিল্লির অন্যতম অভিজাত পার্ক লোদি গার্ডেনে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে

চলতি অর্থবছরের পরিচালন বাজেটও কাটছাঁট করবে অন্তর্বর্তী সরকার

Update Time : ০৫:২৯:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে চলতি অর্থবছরের পরিচালন বাজেটও কাটছাঁট করবে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রাক্কলিত ব্যয় ১ লাখ কোটি টাকার মতো কমতে পারে। যা চূড়ান্ত হতে পারে এ মাসের মধ্যেই। আর কাঁটছাঁটের প্রায় পুরোটাই চলে যেতে পারে উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপি থেকে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বর্তমান বাস্তবতায় এই সিদ্ধান্ত যৌক্তিক। তবে চালু রাখতে হবে প্রবৃদ্ধিবান্ধব প্রকল্পগুলো।

সঙ্কট মাথায় রেখেই এবার তুলনামূলক ছোট বাজেট দিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। আগের ধারাবাহিকতা থেকে সরে আকারও বাড়ানো হয় সামান্য। কিন্তু তারপরও নতুনত্ব ছিল না বরাদ্দ বিভাজনে। তাই বছরজুড়ে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা খরচের লক্ষ্য ধরা হলেও তা থেকে প্রায় ৫ লাখ ৭ হাজার কোটিই রাখা হয় বেতন-ভাতা, সুদসহ অনুন্নয় খাতে।

অন্যদিকে এডিপির আকার ধরা হয় ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। যার প্রায় পুরোটাই হয়ে পড়ে দেশি-বিদেশি ঋণনির্ভর। এমন অবস্থায় উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন থেকে সব মিলিয়ে ১ লাখ কোটি টাকা কমিয়ে বাস্তবায়নযোগ্য এক অবস্থানে যেতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উচ্চাভিলাষী কিছু কিছু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় পরে এটাকে রিভাইস করা হয়। রাজস্ব আদায়, অভ্যন্তরীণ সঞ্চয় সেটাও করতে পারেনি আর ঋণের লক্ষ্যমাত্রাও অনেক সময় বিচ্যুতি হয়েছে। বিচ্যুতি না হলেও একই রকম থেকেছে কারণ আমরা আয়ও করতে পারিনি আবার ব্যয়ও করতে পারিনি।

নানা কারণে, গেলো কয়েক বছর ধরেই এডিপি বাস্তবায়ন হতাশার। বিশেষ করে, সবশেষ অর্থবছরে এই হার নেমে যায় ৮০ শতাংশের ঘরে। যা ২০১৯-২০ থেকে পরের ৫ অর্থবছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। টাকার অঙ্কেও যা ছিল মাত্র ২ লাখ ৫ হাজার কোটি। তাই এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটির নতুন বরাদ্দ নিয়ে। ফলে অতি প্রয়োজনীয় ব্যয় ঠিক রেখে, কম গুরুত্বপূর্ণ এবং রাজনৈতিক প্রকল্প বাদ দেয়ার ইঙ্গিত রয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের।