করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। এর মধ্যে কৃষিমন্ত্রী, প্রযুক্তিমন্ত্রী ও পরিবেশমন্ত্রী শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল কেন্দ্র থেকে করোনার টিকা নেন। এ ছাড়া দুপুরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে সস্ত্রীক করোনার টিকা নেন পাটমন্ত্রী।
টিকা নেওয়ার পর পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন গুজব ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে দেশকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিরাপদে রাখতে জনগণকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান।
অন্যদিকে, টিকা নেওয়ার পর পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘আমি ভ্যাকসিন নিয়েছি। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।’ এ সময় সবাইকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার থেকে দূরে থাকার অনুরোধ জানান তিনি।
এ ছাড়া রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে কোভিড-১৯ টিকা নিয়ে সেখানকার টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এরপর সেখানে টিকা নেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ বেশ কয়েকজন।
রোববার সকাল ১১টার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়।
সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবুল কালামসহ বেশ কয়েকজন টিকা নেন।
রোববার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য ভবনে ভার্চুয়ালি দেশব্যাপী করোনার টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক। পরে মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে করোনার টিকা নেন তিনি।
সারা দেশে এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে টিকা দিতে প্রস্তুত করা হয়েছে দুই হাজার ৪০০টি টিম।
কোভিড-১৯ মহামারিতে গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা জগতে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এক নার্সের টিকা নেওয়ার পর ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি বিভিন্ন পেশার মোট ৫৬৭ জন ফ্রন্টলাইনারকে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকা দেওয়া হয়। টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণে রাখতে ৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার পর্যন্ত টিকাদান বন্ধ রাখা হয়। আজ রোববার ৭ ফেব্রুয়ারি তা দেশব্যাপী শুরু হলো।