ঢাকা ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ফরিদপুরে চলাচলের অযোগ্য সড়ক মেরামত করলো যুবদল কর্মীরা আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় কোনো জঙ্গি হামলার শঙ্কা নেই ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফায় ফের রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ, আহত ১০ বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে শিশুদের সুন্দর বিকাশের জন্য গুরুত্ব প্রদান করা আমাদের সবার দায়িত্ব রাস্তা ঘেষে বেকু দিয়ে মাটি কাটায় ধসে যাচ্ছে ফরিদপুর লেকপাড়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আজকের নামাজের সময়সূচি ৭ অক্টোবর আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা তিন পার্বত্য জেলায় কঠিন চীবর দান উদযাপন না করার সিদ্ধান্ত সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম কিছুটা কমেছে

“চালের দাম কেন এত বাড়বে, তা আমার কাছে বোধগম্য নয়। ১-২ টাকা বাড়াও কিন্তু অনেক বাড়া।” : কৃষিমন্ত্রী

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:৪৩:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০
  • ১৯১ Time View

রোববার ঢাকার কেআইবি মিলনায়তনে এক কর্মশালায় কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকবলেন, “চালের দাম কেন এত বাড়বে, তা আমার কাছে বোধগম্য নয়। ১-২ টাকা বাড়াও কিন্তু অনেক বাড়া। সেখানে ৩২-৩৩ টাকার মোটা চাল ৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারণগুলো কি?”

কৃষিমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর দুই দফা বন্যার কারণে আউশ ও আমন ফলনের কিছু ক্ষতি হয়েছে। তবে উৎপাদনের যে পরিসংখ্যান সরকারের হাতে আছে, তাতে চালের এত ঘাটতি হওয়ার কথা নয়।

“অথচ আজকে সরকারের ঘরে চাল নেই। আমাদের চাল আমদানি করতে হচ্ছে। কখনও তাও আমদানি করতে পারি না। কিছু ভুলভ্রান্তি আমাদের আছে। কিন্তু চালের দাম কেন এত বাড়বে?”

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) গবেষণা বলছে, পরপর চার দফা বন্যায় এবার ধান উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাতে ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল কম উৎপাদন হতে পারে। কিন্তু তারপরও যে পরিমাণ চাল উৎপাদন হবে, তা দিয়ে আগামী জুন পর্যন্ত চাহিদা মিটিয়েও কমপক্ষে ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকার কথা।

এখন আমনের ভরা মৌসুম চললেও ধান ও চাল-দুটোরই দাম গতবছরের তুলনায় বেশি। সরকারের ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে নাজিরশাইল ও মিনিকেটের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। আর ইরি বা স্বর্ণার মত মোটা চালের দাম ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়েছে। মাঝারি মানের চাল পাইজাম বা লতার দাম বেড়েছে ১৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ২৩ ডিসেম্বরের যে তথ্য দেওয়া আছে, তাতে সরকারি গুদামগুলোতে মোট ৭ দশমিক ৪৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে। এর মধ্যে চাল ৫ দশমিক ৪২ লাখ মেট্রিক টন এবং গম ২ দশমিক ৪ লাখ মেট্রিক  টন। চালের মজুদের এই পরিমাণ গত বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেক।

এ পরিস্থিতিতে চাল আমদানিতে জোর দিচ্ছে সরকার। এ মাসেই ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এতদিন চাল আমদানিতে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশের মত শুল্ক দিতে হত। তা কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার কথা রোববারই জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ‘উন্নত মানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের (তৃতীয় পর্যায়- প্রথম সংশোধিত)’ কর্মশালায় কৃষিমন্ত্রী বলেন, “আমাদের পেঁয়াজ বীজের ক্রাইসিস রয়েছে। দুই বিলিয়ন ডলারের ভোজ্য তেল আমাদের আমদানি করতে হয়।। এ নিয়ে ভাবতে হবে।”

দেশে মুগডাল উৎপাদনের ‘ভালো সম্ভাবনা’ রয়েছে জানিয়ে ডাল, তেল, মসলার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষও বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

Tag :
জনপ্রিয়

ফরিদপুরে চলাচলের অযোগ্য সড়ক মেরামত করলো যুবদল কর্মীরা

“চালের দাম কেন এত বাড়বে, তা আমার কাছে বোধগম্য নয়। ১-২ টাকা বাড়াও কিন্তু অনেক বাড়া।” : কৃষিমন্ত্রী

Update Time : ০৭:৪৩:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০

রোববার ঢাকার কেআইবি মিলনায়তনে এক কর্মশালায় কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকবলেন, “চালের দাম কেন এত বাড়বে, তা আমার কাছে বোধগম্য নয়। ১-২ টাকা বাড়াও কিন্তু অনেক বাড়া। সেখানে ৩২-৩৩ টাকার মোটা চাল ৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারণগুলো কি?”

কৃষিমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর দুই দফা বন্যার কারণে আউশ ও আমন ফলনের কিছু ক্ষতি হয়েছে। তবে উৎপাদনের যে পরিসংখ্যান সরকারের হাতে আছে, তাতে চালের এত ঘাটতি হওয়ার কথা নয়।

“অথচ আজকে সরকারের ঘরে চাল নেই। আমাদের চাল আমদানি করতে হচ্ছে। কখনও তাও আমদানি করতে পারি না। কিছু ভুলভ্রান্তি আমাদের আছে। কিন্তু চালের দাম কেন এত বাড়বে?”

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) গবেষণা বলছে, পরপর চার দফা বন্যায় এবার ধান উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাতে ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল কম উৎপাদন হতে পারে। কিন্তু তারপরও যে পরিমাণ চাল উৎপাদন হবে, তা দিয়ে আগামী জুন পর্যন্ত চাহিদা মিটিয়েও কমপক্ষে ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকার কথা।

এখন আমনের ভরা মৌসুম চললেও ধান ও চাল-দুটোরই দাম গতবছরের তুলনায় বেশি। সরকারের ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে নাজিরশাইল ও মিনিকেটের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। আর ইরি বা স্বর্ণার মত মোটা চালের দাম ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়েছে। মাঝারি মানের চাল পাইজাম বা লতার দাম বেড়েছে ১৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ২৩ ডিসেম্বরের যে তথ্য দেওয়া আছে, তাতে সরকারি গুদামগুলোতে মোট ৭ দশমিক ৪৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে। এর মধ্যে চাল ৫ দশমিক ৪২ লাখ মেট্রিক টন এবং গম ২ দশমিক ৪ লাখ মেট্রিক  টন। চালের মজুদের এই পরিমাণ গত বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেক।

এ পরিস্থিতিতে চাল আমদানিতে জোর দিচ্ছে সরকার। এ মাসেই ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এতদিন চাল আমদানিতে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশের মত শুল্ক দিতে হত। তা কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার কথা রোববারই জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ‘উন্নত মানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের (তৃতীয় পর্যায়- প্রথম সংশোধিত)’ কর্মশালায় কৃষিমন্ত্রী বলেন, “আমাদের পেঁয়াজ বীজের ক্রাইসিস রয়েছে। দুই বিলিয়ন ডলারের ভোজ্য তেল আমাদের আমদানি করতে হয়।। এ নিয়ে ভাবতে হবে।”

দেশে মুগডাল উৎপাদনের ‘ভালো সম্ভাবনা’ রয়েছে জানিয়ে ডাল, তেল, মসলার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষও বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।