প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) উৎস অনুসন্ধানে চীনে সফররত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তদন্ত দল জানিয়েছে, উহান শহরের ল্যাব থেকে করোনা ছড়ানোর বিষয়ে যে তথ্য ছিল, তার কোনো ভিত্তি নেই।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ তথ্য জানায়।
২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনা মহামারি শনাক্ত হয়। এরপর ভাইরাসটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাসে এ পর্যন্ত দুই কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পাঠানো টিমের প্রধান পিটার বেন এমবার্ক বলেন, চীনের উহান শহরের ল্যাব থেকে ভাইরাস ছড়ানোর বিষয়টি অতিমাত্রায় অসম্ভব। ভাইরাসের তথ্য উৎস শনাক্তে আরো বেশি কাজ করা প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা ভাইরাসের উৎস বাদুর এবং এই বাদুর থেকে অন্য প্রাণির মাধ্যমে এটি মানুষে সংক্রমিত হয়েছে।
ড. এমবার্ক বলছেন, এটি প্রথম সম্ভবত প্রাণীতে হয়েছিল, পরে তা মানুষের মধ্যে ছাড়ায়; তবে এটি এখনো সঠিক তথ্য নয়। প্রাণী থেকে সংক্রমণের পথ চিহ্নিতকরণের কাজ এখনও ‘প্রক্রিয়ার মধ্যে’ রয়েছে।
এদিকে ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য বলছে, মঙ্গলবার সকাল নাগাদ বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০ কোটি ৭০ লাখ ৩ হাজার ৫২৬ জন। একই সময় নাগাদ বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছেন ২৩ লাখ ৩৬ হাজার ২৪২ জন। করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৭ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯৪ জন।
প্রাণঘাতী ভাইরাসটির থাবায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা ২ কোটি ৭৭ লাখ ৬২৯ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৪০৫ জন।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮ লাখ ৪৭ হাজার ৭৯০ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ১৯৫ জন।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৫ লাখ ৫০ হাজার ৩০১ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ২ লাখ ৩২ হাজার ২৪৮ জন।
তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। যুক্তরাজ্য পঞ্চম। ফ্রান্স ষষ্ঠ। স্পেন সপ্তম। ইতালি অষ্টম। তুরস্ক নবম। জার্মানি দশম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩১তম।