সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের ঘোষণা দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। শিগগিরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসছে বলে জানা গেছে। এজন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জামুকা।
জামুকার সদস্য ও সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেনকে এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটিতে সদস্য হিসেবে আরও আছেন- সংসদ সদস্য শাজাহান খান ও মো. রশিদুল আলম। এই কমিটি গঠন করা হয়েছে গত ৯ ফেব্রুয়ারি। জামুকার ৭২তম সভার কার্যবিবরণীতে তা উল্লেখ করা হয়।
কমিটির প্রধান মোশাররফ হোসেন বলেন, জিয়াউর রহমান সরাসরি বঙ্গবন্ধুর খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ ধরনের ব্যক্তি খেতাবধারী থাকবেন, তা তো মেনে নেওয়া যায় না। এ জন্যই তার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সিদ্ধান্ত তো হয়েই আছে, এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যা করে সেনাবাহিনীর বিপথগামী কিছু সদস্য। এ ষড়যন্ত্রে জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা আছে বলে অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতাদের। বিএনপি সবসময়ই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
গঠিত কমিটির একজন সদস্য জানান, জামুকার তিন সদস্যের কমিটি জিয়াউর রহমান ছাড়াও খুনি খন্দকার মোশতাক, মাহবুবুল আলম চাষীসহ অন্যদের বিষয়ে বিভিন্ন অপতৎপরতার প্রমাণপত্র উপস্থাপন করবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিভিন্ন কাজে জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়েও তথ্য প্রমাণ যোগাড় করবে এই কমিটি।
এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি জামুকার সভায় জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘বীর উত্তম’ বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরীফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়।
জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের কারণ হিসেবে জামুকা বলছে, তিনি সংবিধান লঙ্ঘন, সংবিধানের মূলনীতি বাতিল, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের মদদ দেওয়া ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা, মুক্তিযোদ্ধা হয়েও স্বাধীনতাবিরোধী লোকজন নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন।