টুঙ্গিপাড়ায় আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি শামীম হকের নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান নেতৃবৃন্দ। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন নেতৃবৃন্দ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শণ বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ।
এ সময় ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ, কোষাধ্যক্ষ ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক যশোদা জীবন দেবনাথ-সহ নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনের ৮ মাস পর সোমবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটি এবং ২০ সদস্য
বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
জেলা কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মন্তব্যে লিখেছেন, মাননীয় সভাপতির নির্দেশক্রমে অনুমোদন করা হলো।’ গত ১২ মে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে প্রথমে জেলা আওয়ামী লীগের চলমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। পরে ওই সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি শামীম হক এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জেলা আয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শাহ্ মো. ইশতিয়াক আরিফের নাম ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটির মধ্যে সহ সভাপতি করা হয়েছে ১১ জনকে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে তিনজন করে।
৭৫ সদস্য বিশিষ্ট ঘোষিত কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সম্পাদক পর্যায়ে সদস্য হলেন ৩৯ জন
এবং সদস্য করা হয়েছে ৩৬ জনকে।
আওয়ামী লীগের সম্মেলনের সময় সভাপতি মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ১০ জন এবং সাধারণ সম্পাদকের মনোনযন প্রত্যাশী ছিলেন ২১ জন। ঘোষিত কমিটিতে দেখা যাচ্ছে কাজী জাফরউল্লার বক্তব্য অনুযায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী সকলকে নতুন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি শামসুল হক ওরফে ভোলা মাস্টার সভাপতির প্রার্থী ছিলেন । নতুন কমিটিতে কোন পদেই তাকে রাখা হয়নি ।
এছাড়া জেলা যুবলীগের আহবায়ক জিয়াউল হাসান মিঠু সম্মেলনের সময় সাধারণ সম্পাদক মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন, তাকেও সদ্য ঘোষিত কমিটির কোনো পদে রাখা হয়নি।
পরে, টুঙ্গিপাড়ায় নতুন কমিটির আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।