করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার শুরুর দিকের সময়কার মূল তথ্যগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তদন্ত দলকে সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে চীন। তথ্যগুলো বিস্তারিতভাবে না দিয়ে সারমর্ম আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কিভাবে করোনা মহামারির সূচনা হয়েছিল, এর উৎস কী, তা জানার প্রচেষ্টা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তদন্ত দলটির এক সদস্যকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের উহান থেকেই করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে বলে দাবি করে আসছেন অনেক বিজ্ঞানী। তবে চীন বরাবরই সে দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। তারা দাবি করেছে, আমদানি করা ফ্রোজেন খাবার থেকেই ছড়িয়েছে এ ভাইরাস। করোনাভাইরাস আসলে কোথা থেকে উদ্ভূত হয়েছিল এবং কীভাবে এটি ছড়িয়ে পড়ে সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং সন্ধানের অংশ হিসেবে সম্প্রতি চীনে যায় ডব্লিউএইচও’র আন্তর্জাতিক তদন্ত দল। দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিন শেষ করে আনুষ্ঠানিক তদন্তে নামে তারা।
এ তদন্ত দলে কাজ করছেন অস্ট্রেলীয় সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডমিনিক ডোয়ের। রয়টার্সকে তিনি জানান, তাদের তদন্ত দলের পক্ষ থেকে চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছিল তারা যেন ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উহানে আক্রান্ত ১৭৪ জনের মূল তথ্যগুলো সরবরাহ করেন। তবে চীন সে অনুরোধে সাড়া দেয়নি বলে আক্ষেপ জানান ডমিনিক। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্ত দলকে শুধু ওই রোগীদের তথ্যগুলো সারমর্ম আকারে সরবরাহ করা হয়েছে। ওইসব রোগীকে আলাদা করে কী কী প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাদের জবাব কী ছিল এবং তাদের উত্তরগুলো কিভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে তার বিস্তারিত জানানো হয়নি।
এ বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এ তথ্যগুলো পাওয়া জরুরি ছিল কারণ ওই ১৭৪ জন আক্রান্তের মধ্যে অর্ধেকই সংক্রমিত হওয়ার আগে হুয়ানান মার্কেটে গিয়েছিলেন। এ বাজার থেকেই করোনার প্রকোপের সূত্রপাত হয়েছিল বলে সন্দেহ করা হয়ে থাকে।