ঢাকা ০৯:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
সুখী দেশের তালিকায় আরও পাঁচ ধাপ পিছিয়ে এ বছর ১৩৪তম অবস্থানে নেমে গেছে বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করেছে সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল ‘জনতার দল’ সরকার ১৯৬ কর্মকর্তাকে যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় চারটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত যে কোনো উপায়ে আগামী ২৯ মার্চ শাওয়াল বা ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা সম্ভব নয়: সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র আগামী ১০ এপ্রিল থেকে ৩৩ দিন বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার চলতি মাসের প্রথম ১৯ দিনে দেশে এসেছে ২২৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স গাজা উপত্যকায় গত মঙ্গলবার থেকে উপত্যকাটিতে ৭১০ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী ইসরায়েলের একটি বিমানবন্দরে হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি মিথ্যা তথ্য দিয়ে ডব্লিউএইচওতে চাকরি, পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুদক

ডব্লিউএইচও-কে করোনা মহামারির সূচনা পর্বের তথ্য দিতে চাচ্ছেনা চীন

করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার শুরুর দিকের সময়কার মূল তথ্যগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তদন্ত দলকে সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে চীন। তথ্যগুলো বিস্তারিতভাবে না দিয়ে সারমর্ম আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কিভাবে করোনা মহামারির সূচনা হয়েছিল, এর উৎস কী, তা জানার প্রচেষ্টা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তদন্ত দলটির এক সদস্যকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের উহান থেকেই করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে বলে দাবি করে আসছেন অনেক বিজ্ঞানী। তবে চীন বরাবরই সে দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। তারা দাবি করেছে, আমদানি করা ফ্রোজেন খাবার থেকেই ছড়িয়েছে এ ভাইরাস। করোনাভাইরাস আসলে কোথা থেকে উদ্ভূত হয়েছিল এবং কীভাবে এটি ছড়িয়ে পড়ে সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং সন্ধানের অংশ হিসেবে সম্প্রতি চীনে যায় ডব্লিউএইচও’র আন্তর্জাতিক তদন্ত দল। দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিন শেষ করে আনুষ্ঠানিক তদন্তে নামে তারা।

এ তদন্ত দলে কাজ করছেন অস্ট্রেলীয় সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডমিনিক ডোয়ের। রয়টার্সকে তিনি জানান, তাদের তদন্ত দলের পক্ষ থেকে চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছিল তারা যেন ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উহানে আক্রান্ত ১৭৪ জনের মূল তথ্যগুলো সরবরাহ করেন। তবে চীন সে অনুরোধে সাড়া দেয়নি বলে আক্ষেপ জানান ডমিনিক। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্ত দলকে শুধু ওই রোগীদের তথ্যগুলো সারমর্ম আকারে সরবরাহ করা হয়েছে। ওইসব রোগীকে আলাদা করে কী কী প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাদের জবাব কী ছিল এবং তাদের উত্তরগুলো কিভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে তার বিস্তারিত জানানো হয়নি।

ডমিনিক বলেন, ‘কোনও প্রাদুর্ভাব নিয়ে মানসম্মত তদন্ত করতে গেলে এ ধরনের তথ্য বিশ্লেষণ জরুরি।’

এ বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এ তথ্যগুলো পাওয়া জরুরি ছিল কারণ ওই ১৭৪ জন আক্রান্তের মধ্যে অর্ধেকই সংক্রমিত হওয়ার আগে হুয়ানান মার্কেটে গিয়েছিলেন। এ বাজার থেকেই করোনার প্রকোপের সূত্রপাত হয়েছিল বলে সন্দেহ করা হয়ে থাকে।

Tag :

সুখী দেশের তালিকায় আরও পাঁচ ধাপ পিছিয়ে এ বছর ১৩৪তম অবস্থানে নেমে গেছে বাংলাদেশ

ডব্লিউএইচও-কে করোনা মহামারির সূচনা পর্বের তথ্য দিতে চাচ্ছেনা চীন

Update Time : ০৭:৩০:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার শুরুর দিকের সময়কার মূল তথ্যগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তদন্ত দলকে সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে চীন। তথ্যগুলো বিস্তারিতভাবে না দিয়ে সারমর্ম আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কিভাবে করোনা মহামারির সূচনা হয়েছিল, এর উৎস কী, তা জানার প্রচেষ্টা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তদন্ত দলটির এক সদস্যকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের উহান থেকেই করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে বলে দাবি করে আসছেন অনেক বিজ্ঞানী। তবে চীন বরাবরই সে দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। তারা দাবি করেছে, আমদানি করা ফ্রোজেন খাবার থেকেই ছড়িয়েছে এ ভাইরাস। করোনাভাইরাস আসলে কোথা থেকে উদ্ভূত হয়েছিল এবং কীভাবে এটি ছড়িয়ে পড়ে সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং সন্ধানের অংশ হিসেবে সম্প্রতি চীনে যায় ডব্লিউএইচও’র আন্তর্জাতিক তদন্ত দল। দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিন শেষ করে আনুষ্ঠানিক তদন্তে নামে তারা।

এ তদন্ত দলে কাজ করছেন অস্ট্রেলীয় সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডমিনিক ডোয়ের। রয়টার্সকে তিনি জানান, তাদের তদন্ত দলের পক্ষ থেকে চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছিল তারা যেন ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উহানে আক্রান্ত ১৭৪ জনের মূল তথ্যগুলো সরবরাহ করেন। তবে চীন সে অনুরোধে সাড়া দেয়নি বলে আক্ষেপ জানান ডমিনিক। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্ত দলকে শুধু ওই রোগীদের তথ্যগুলো সারমর্ম আকারে সরবরাহ করা হয়েছে। ওইসব রোগীকে আলাদা করে কী কী প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাদের জবাব কী ছিল এবং তাদের উত্তরগুলো কিভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে তার বিস্তারিত জানানো হয়নি।

ডমিনিক বলেন, ‘কোনও প্রাদুর্ভাব নিয়ে মানসম্মত তদন্ত করতে গেলে এ ধরনের তথ্য বিশ্লেষণ জরুরি।’

এ বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এ তথ্যগুলো পাওয়া জরুরি ছিল কারণ ওই ১৭৪ জন আক্রান্তের মধ্যে অর্ধেকই সংক্রমিত হওয়ার আগে হুয়ানান মার্কেটে গিয়েছিলেন। এ বাজার থেকেই করোনার প্রকোপের সূত্রপাত হয়েছিল বলে সন্দেহ করা হয়ে থাকে।